রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বিআর চোপড়ার ‘মহাভারত’। তিন দশক পরেও জনপ্রিয়তা হারায়নি এই টেলি ধারাবাহিক। বছরের পর বছর পুনঃসম্প্রচারিত হয়েছে। মূলত হিন্দি ভাষায় নির্মিত এই ধারাবাহিকে দু’টি মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দুই বাঙালি অভিনেত্রী— সত্যবতীর চরিত্রে দেবশ্রী রায় এবং দ্রৌপদীর চরিত্রে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
ঘটনা হল, দ্রৌপদীর চরিত্রটি করার কথা ছিল অন্য এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর। ওই চরিত্রের জন্য মনোনীতও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে বিআর চোপড়ার সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন সেই অভিনেত্রী। তার পরই দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করেন বাঙালি অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা পান তিনি। যিনি এই চরিত্রটি করতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি জুহি চাওলা। মূলত তিনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার ফলে, সুযোগ আসে রূপার কাছে এবং সারা ভারতে জনপ্রিয়তা পান তিনি।
জুহি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বিআর চোপড়া তাঁকে দ্রৌপদীর চরিত্রে মনোনীত করে ফেলেছিলেন। তখন তিনি ভারত সুন্দরী। ১৯৮৮ সাল থেকে সম্প্রচারিত হতে শুরু করে ‘মহাভারত’। কিন্তু কেন কাজ করলেন না বিআর চোপড়ার সঙ্গে?
জুহি বলেছিলেন, “চোপড়া সাহেব অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। তিনি আমাকে দ্রৌপদীর জন্য মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু ততদিনে আমি সই করে ফেলেছি ‘ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক’ ছবিতে। চোপড়া সাহেবই আমাকে বলেন, ‘থাক, তুমি ছবির কাজেই মন দাও।’আমি সত্যিই সে দিন বুঝতে পারিনি কোন কাজটা আমার বেছে নেওয়া উচিত।”জুহির দাবি, অভিভাবকের মতো বিআর চোপড়াই পথ দেখিয়েছিলেন তাঁকে। কারণ, সেই সময় চলচ্চিত্র জগতে জুহির তেমন পরিচিত কেউ ছিলেন না।