মাছ-বির্তকে পরশকে একহাত নিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী হবে? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাকি? গুজরাতে বিজেপির প্রচারসভায় এসে বাঙালিদের নিয়ে এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন অভিনেতা, বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়াল। তার পর থেকেই রীতিমতো জনরোষের মুখে পড়তে হয় অভিনেতাকে। চাপে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন পরেশ। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে তত ক্ষণে। এ বার পরেশের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিনেতাকে কটাক্ষ করলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী একটিও বাক্যব্যয় না করেই। তা-ও আবার পুতুলের সাহায্যে। ব্যাপারটা ঠিক কী রকম?
আসলে ঋত্বিকের ভেন্ট্রিলিক্যুইজ়ম এখন সমাজমাধ্যমে বেশ আলোচিত। প্রায়শই একটা ‘বেলাগাম’ পুতুল নিয়ে হাজির হচ্ছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। সেখানেই দেখা যাচ্ছে তাঁর হাতের পুতুল যা খুশি তাই বলেছে। ঋত্বিকও মজা করে বলছেন, তাঁর হাতের পুতুলটি পুরোপুরি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। সেখানেই ‘বড়দা’র ভূমিকায় দেখা দেন তিনি। বড়দার ধমকানো-চমকানো সবই চলছে। যেন এক আজব খেলা! এই পুতুল কিন্তু রাজনীতি থেকে সমাজ— সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল। ফটাফট মন্তব্যও করে। এ বার ফের বড়দা ও তাঁর পুতুল হাজির। বিষয় পরেশ রাওয়াল।
যদিও বড়দার পুতুলের কথায় পারশে বাওয়াল। ভুল ধরিয়ে দিয়ে ঋত্বিক বোঝালেন, না ওটা পরেশ রাওয়াল। তার কাছে ঋত্বিক জানতে চান, সে নাকি বাঙালিদের অপমান করেছে! বিজ্ঞদের মতো উত্তর দিয়ে সে বলে, ‘গাধার ডাকে কি তানসেন অপমানিত হয়?’
প্রসঙ্গত, গুজরাতের ভোটপ্রচারে বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে নেমে গত মঙ্গলবার পরেশ একটি সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?” তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আক্রমণ করতে গিয়ে পরেশ কি খেই হারিয়ে গোটা বাঙালি জাতিকেই অপমান করলেন, এই প্রশ্ন তোলেন দেশবিদেশের বাঙালিরা। তাঁর এই জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য বিপাকে পড়েছেন ‘বাবু ভাইয়া’।