ঋষি কৌশিক। ছবি: সংগৃহীত।
টলিপাড়ায় এখন বিচ্ছেদের সুর। যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা নিয়ে আলোড়ন নেটপাড়ায়। এর মধ্যেই চর্চায় উঠে এসেছে টলিপাড়ার আর এক অভিনেতার দাম্পত্য— ঋষি কৌশিক। তবে নাম না করেই তিনি স্ত্রী দেবযানী চক্রবর্তীকে নিয়ে একাধিক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করছেন। সম্পর্ক নিয়ে একটি বড় ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন ঋষি। তাতে স্পষ্ট হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ বার আরও একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন তিনি।
খারাপ মানুষের শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে, তাঁকে চিনতে অসুবিধা হত না। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের এড়িয়ে চলতে পারত অন্যেরা— ঋষির পোস্টের মূল বক্তব্য এমনই। তিনি লিখেছেন, “যদি খারাপ মানুষের শরীর ও মন থেকে দুর্গন্ধ ছড়াত তা হলে বোধহয় বেশির ভাগ মানুষ সেই জঘন্য দুর্গন্ধে থাকতেই পারত না।” এই পোস্টের নিশানায়ও যে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী দেবযানী, তা স্পষ্ট নেটাগরিকের কাছে।
১২ বছরের দাম্পত্য ঋষি ও দেবযানীর। সম্প্রতি ঋষি দাবি করেছেন, বিয়ের আগেই নাকি তিনি বুঝেছিলেন, দু’জনের মধ্যে বিস্তর ফারাক। কিন্তু সে সব বিষয়ে বোঝাপড়া করেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি পোস্ট করা ভিডিয়োয় নাম না করে ঋষি বলেন, “১২ বছর আগে একটি ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়। যদিও মেয়েটি ও ছেলেটির জীবনযাত্রা একেবারেই আলাদা। তা বুঝতে পেরেই নাকি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাননি সেই ছেলে। কিন্তু নিজেকে বদলে ফেলার আশ্বাস দেন মেয়েটি। এই মর্মেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হন সেই ছেলে। তবে বিয়ের পর থেকে নিজেকে বিন্দুমাত্র বদলাননি তিনি, বরং মেয়েটির উন্নাসিকতা আরও বেড়েছে উত্তরোত্তর।”
দেবযানী পেশায় এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। নাম না করে স্ত্রীর জীবনযাপনের সমালোচনা করেছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “ধূমপান, মদ্যপান, রাত্রে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, একেই কি বলে আধুনিকা নারী!” সম্পর্কে নেই কোনও বোঝাপড়া। এমতাবস্থায় সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত? নেটাগরিকের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন ঋষি কৌশিক।
যদিও এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও কথা বলতে নারাজ ঋষি। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে প্রথম দিনই যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেতার সঙ্গে। সে দিন তিনি, ‘বিষয়টি ব্যক্তিগত’ বলে কথোপকথন আর এগোতে চাননি। সমাজমাধ্যমে একের পর এক পোস্ট বিষয়ে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি অভিনেতার স্ত্রীর তরফেও। তবে নিজের ভিডিয়োয় ঋষি দাবি করেছেন, ‘ছেলেটির’ স্ত্রী নাকি অনেককেই বলে বেড়ান ‘ছেলেটির’ মানসিক সমস্যা রয়েছে।