ঋষি কৌশিক ও দেবযানী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
দাম্পত্যে চিড় ধরেছে। সমাজমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেতা ঋষি কৌশিক। ১২ বছর ধরে সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। নাম না করে স্ত্রীকে ‘বেপরোয়া’ বলেও মন্তব্য করেছেন ঋষি। পাল্টা দিয়েছেন স্ত্রী দেবযানী চক্রবর্তীও। জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যমে এই ধরনের পোস্টের বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপ করবেন। এ সবের মধ্যেই একটি পুরনো ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকের আন্দাজ, দু’জনের মধ্যে অনেক আগেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
গত বছর একসঙ্গে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ গিয়েছিলেন ঋষি ও দেবযানী। সেখানে দেবযানী মজার ছলেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ঋষি নাকি খুব রেগে যান। তারই পাশাপাশি স্বামীর প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। দেবযানী বলেন, “ঋষি বরাবরই ঘরোয়া। এখন আরও বেশি ঘরোয়া হয়েছে। রান্নাবান্নাও ভাল জানে। একেবারে আদর্শ স্বামী বলা চলে। শুধু রাগটা একটু কমে গেলে সব ঠিকঠাক।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিকে প্রশ্ন করেন, তাঁরা বেড়াতে যান কি না। উত্তরে ঋষি বলেন, “আমি বহু দিন কোথাও যাইনি। ও তো কাজের সূত্রে ঘুরেই বেড়ায়। থাকেই না প্রায়।” তবে এই বিষয় নিয়ে কোনও রাগ বা আক্ষেপ নেই বলেই জানিয়েছিলেন ঋষি। অভিনেতার কথায়, “আমার রাগ হয় না। আমার ভালই লাগে। বাড়িতে থাকতে ভালই লাগে। আরামে কাটিয়ে দিই।” দেবযানী বলেন, “আমি বাড়িতে না থাকলে ও-ই সবটা সামাল দেয়।’’ মজা করে রচনা বলেন, “তার মানে স্ত্রী বাড়িতে না থাকলে ভালই সময় কাটে।” সেই রসিকতা সমর্থন করেন ঋষি নিজেও।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই একটি ভিডিয়োয় ঋষি বলেছিলেন, “১২ বছর আগে একটি ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়। যদিও মেয়েটি ও ছেলেটির জীবনযাত্রা একেবারেই আলাদা। তা বুঝতে পেরেই নাকি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাননি সেই ছেলে। কিন্তু নিজেকে বদলে ফেলার আশ্বাস দেন মেয়েটি। এই মর্মেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হন সেই ছেলে। তবে বিয়ের পর থেকে নিজেকে বিন্দুমাত্র বদলাননি তিনি, বরং মেয়েটির উন্নাসিকতা আরও বেড়েছে।” এই ভিডিয়ো দেখেই নেটাগরিকেরা আশঙ্কা করেছিলেন, ঋষির দাম্পত্যে চিড় ধরেছে।