অভিনেতা ঋষি কৌশিক ফের চিকিৎসক অবতারে।
পর্দায় ফিরছেন ডা. ঋষি কৌশিক! খোলসা করে বললে, অভিনেতা ঋষি কৌশিক ফের চিকিৎসক অবতারে। ২৪ জানুয়ারি থেকে কালার্স বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘সোনা রোদের গান’-এ তিনি ‘চিকিৎসক অনুভব’। খবর ছড়াতেই মহিলা মহলে খুশির হাসি। প্রথম ধারাবাহিক ‘একদিন প্রতিদিন’-এই দর্শক মনে ছাপ ফেলেছিলেন অভিনেতা। তার পর ষোলো থেকে ছাপ্পান্নর মহিলাকুল চোখে হারাত ধারাবাহিক ‘এখানে আকাশ নীল’-এর ‘চিকিৎসক উজান চট্টোপাধ্যায়’কে। সেই ধারাবাহিকে ঋষির বিপরীতে ছিলেন অপরাজিতা ঘোষ দাস। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিকে পায়েল দে। পার্থক্য কি শুধু এটুকুই?
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ছোট পর্দার জনপ্রিয় ‘ডাক্তারবাবু’র সঙ্গে। সহজ ভাবেই ফারাক বুঝিয়ে দিয়েছেন ঋষি। অভিনেতার ব্যাখ্যা, ‘‘প্রথমে বলব, গল্পের পার্থক্য আছে। আগের ধারাবাহিকে চিকিৎসকদের জীবনের কিছু ছায়া উঠে এসেছিল গল্প হয়ে। সেখানে হাসপাতালে একটি মেয়ে আসে রোগিণী হিসেবে। তার সঙ্গে প্রেম হয় চিকিৎসক উজানের।’’ নতুন ধারাবাহিকে পায়েল তাঁর বাবার চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে আসবেন। শুশ্রূষার হাত ধরে চিকিৎসক অনুভবের সঙ্গে তাঁর পরিচয়, হয়তো ভালবাসাও।
অভিনেতার চোখে দ্বিতীয় পার্থক্য, পরিচালনা এবং প্রযোজনা সংস্থার নিরিখে। তাঁর দাবি, প্রযোজনা সংস্থা বা পরিচালক, চিত্রনাট্যকার বদলালেই গল্প. চরিত্রও অনেকটাই বদলে যায়। অভিনেতার আশা, নতুন ধারাবাহিক ব্যবধান তৈরি করে দেবে ‘উজান’ আর ‘অনুভব’-এর মধ্যে।
বৃহস্পতিবার বেলা গড়াতেই চ্যানেলের ফেসবুক পাতায় হাজির হয়েছিলেন ঋষি। ‘চিকিৎসক অনুভব’-এর গল্প শোনাতে। সেখানে নিজেই বলেছেন, অনুভব অন্তর্মুখী, শান্ত, নিজের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। কম কথার মানুষ। একটু রাগী, অনেকটা অভিমানী। এবং তার অতীত আছে। তাই সবার থেকে নিজেকে সে সরিয়ে রাখে। উজানও তো প্রায় এ রকমই ছিলেন! শুধু এই দুটি চরিত্রে নয়, ‘ইষ্টি কুটুম’ ধারাবাহিকের ‘অর্চিষ্মান’ও তেমনই ছিলেন। ঋষি কৌশিক নিজেও কি আদতে তাই? অভিনেতার যুক্তি, ‘‘এক একটি চরিত্র এক এক জনের সঙ্গে বেশি মানানসই। তাই তাঁকে সেই ধরনের চরিত্রে বেশি দেখা যায়। আমি অন্তর্মুখী চরিত্রে বেশি অনায়াস। তাই হয়তো আমায় এই ধরনের চরিত্রে বেশি দেখা যায়।’’
পর্দার ‘উজান’-এর দাবি, ‘‘বাস্তবে কিন্তু আমি এমনটা নই!’’ অভিনেতার সংযোজন, কারও সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব হলে তাঁর সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেন তিনি। ঠাট্টা-ইয়ার্কিতেও মাতেন।
ইতিমধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, বারবার কেন চিকিৎসক চরিত্রে কাজ করছেন ঋষি? অন্য ধরনের চরিত্র করতে ইচ্ছে করে না? উত্তরে অভিনেতার আফশোস— “ছোট পর্দা এখনও নারীপ্রধান। দর্শক টানতে সেখানে নারীর লড়াই জায়গা পায়।” ইতিমধ্যে এই প্রশ্নও উঠেছে, পুরুষদের কি লড়াই নেই! তাঁদের কথা কবে উঠে আসবে? ‘অনুভব’-এর দাবি, যত দিন তেমনটা না হচ্ছে তত দিন পুরুষ চরিত্রে বৈচিত্র্য আসবে না। এক পেশার চরিত্র একাধিক বার করতে হবে। তাই চিকিৎসকের মতোই তিনি দু’বার এসিপি-ও হয়েছেন।
এখন করোনা-কাল। ডা. উজানের মতো ডা. অনুভবের কাছেও কি সাধারণ মানুষ সুস্থ থাকার পরামর্শ চাইছেন? হাসতে হাসতেই জবাব এল, ‘‘একটা সময়ে কিন্তু সত্যি সত্যিই সবাই আমায় ডাক্তার ভাবতে শুরু করেছিলেন। অনেকে ফোনে পরামর্শ চাইতেন নানা বিষয়ে। এখনও পর্দায় অনুভবকে দেখা যায়নি। তাই বোধহয় কেউ পরামর্শ চেয়ে ফোন করেননি!’’