বক্স অফিসের দৈন্যদশা, নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের কটাক্ষ রত্না পাঠক শাহের। ছবি: সংগৃহীত।
একে অতিমারি ও লকডাউনের জের। তার উপরে দোসর একের পর এক খারাপ ও ব্যর্থ ছবি। গত কয়েক বছরে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিস। চলতি বছরে ‘পাঠান’ কিছুটা অক্সিজেন জোগালেও ‘শেহজ়াদা’, ‘সেলফি’র মতো ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেও সেই একই দুর্দশা। সঙ্গে রয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দর্শকের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহের সমীকরণ কিছুটা হলেও বদলেছে। এক সিরিজ়ের প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে এই সব কিছু নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ।
চলচ্চিত্র জগতে বরাবরই স্পষ্টবক্তা বলে খ্যাত রত্না পাঠক শাহ। স্বামী ও বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহও ব্যতিক্রম নন। শিল্প-সমাজ থেকে রাজনীতি— সব বিষয়েই নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে থাকেন বলিউডের এই প্রবীণ জুটি। একই কারণে একাধিক বার বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছেন তাঁদের। তবে বিতর্ক দমাতে পারেনি তাঁদের। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলিউডের বক্স অফিসের দৈন্যদশা নিয়ে মুখ খুললেন রত্না পাঠক শাহ। রত্নার মতে, ‘‘নতুন প্রজন্মের বেশির ভাগ শিল্পীই আজকাল দলবল নিয়ে ঘোরেন। এই বিষয়টা যে ওঁদের কেরিয়ারেও প্রভাব ফেলছে, তা ওঁরা বুঝতে পারছেন না।’’ রত্না বলেন, ‘‘শুটিংয়ে গোটা ওয়ার্কআউট টিম যাচ্ছে। জিমের সব যন্ত্রপাতি যাচ্ছে। তার পরে আপনারা কী করছেন? নিজেদের পারফরম্যান্স দেখেছেন?’’ রত্নার প্রশ্ন, ‘‘এই জিমের যন্ত্রপাতি, ওয়ার্কআউট টিম, ডায়েটের খাবারদাবার সব মিলিয়ে কত খরচ হয়? ওই সিনেমা বানাতে যা খরচ হচ্ছে, আদৌ কি তত টাকার ব্যবসা করতে পারছে?’’
রত্না আরও বলেন, ‘‘আমি এমনও দেখেছিল, বিমানে অভিনেতারা নিজে কফি চেয়ে খান না। তাঁর সহকারী তাঁর জন্য কফি নিয়ে আসেন। তার পর ওই সহকারীই কফির কাপ খুলেও দেন। অভিনেতা কাপ থেকে এক চুমুক নিয়ে তার পর আবার সেই কাপ সহকারীকে ফেরত দেন।’’ এই ধরনের ‘তারকা’দের প্রতি রত্নার প্রশ্ন, ‘‘কে আপনি? তিন মাসের বাচ্চা? নিজে কফির কাপটুকুও ধরতে পারেন না?’’ এই আচরণ আগামী দিনে গোটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠবে, দাবি বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর।