গোপন সফর বিজয়-রশ্মিকার?
৭ অক্টোবর মুক্তি পেল রশ্মিকা মন্দনা অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ‘গুডবাই’। তার পরই ফুরফুরে মেজাজে মলদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা গেল তাঁকে। তার কয়েক মিনিট পরেই চলে এলেন সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা। ‘ডিয়ার কমরেড’ জুটি একসঙ্গেই কি চললেন ছুটি কাটাতে? সে নিয়ে ফের চর্চায় অনুরাগীরা।যত বার প্রশ্ন করা হয়েছে বিজয়-রশ্মিকাকে, প্রেম করছেন কি না, দু’জনেই অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন খুব ভাল বন্ধু তাঁরা। কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা জানিয়েছিলেন, ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিতে বিজয় আর তাঁর চুম্বনদৃশ্য ঘিরে দীর্ঘ দিন ঝড় চলেছে দক্ষিণে। তাঁদের রসায়ন নিয়ে আলোচনা চলে এখনও। অনেকেরই বিশ্বাস, কিছু বিশেষ টান রয়েছে দু’জনের মধ্যে। একত্রে মলদ্বীপ সফর সেই জল্পনাকেই উস্কে দিল ফের।
শুক্রবার বিমানবন্দরে হালকা রঙের টপ, নো মেক আপ লুকে রশ্মিকা শেষমেশ ধরা পড়ে গেলেন। সলজ্জ হাসিতে পোজ দিলেন পাপারাৎজির সামনে। অন্য দিকে, চোখে কালো সানগ্লাস পরা বিজয় ফোন ঘাঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। একসঙ্গে পালাতে পারলে বাঁচেন, ভাবগতিক দেখে তেমনটাই মনে হল।
এই প্রথম নয়, আগেও বিজয়-রশ্মিকাকে নানা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। নিজেদের মধ্যে মশগুল হয়ে যান দেখা হলেই। তবু প্রেমের নামগন্ধ স্বীকার করতে নারাজ। তখনও ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ মুক্তি পায়নি। দক্ষিণী ছবিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন রশ্মিকা। কিন্তু দেশ ঘুরতে গিয়ে দেখেন, তাঁকে ভালবাসেন উত্তরের মানুষও। তাঁকে দেখতে চায় মুম্বই। রশ্মিকা জানান, তাঁর হিন্দি ছবিতে কাজ করতে চাওয়ার মূল কারণ দর্শকের ভালবাসা। বললেন, “সকলে চাইতেন, আমি বলিউডে ছবি করি। তাই ভাবলাম দেখাই যাক।”
২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ রশ্মিকার জীবন বদলে দেয়। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে অভিনেত্রী জানান, মানুষের ভালবাসা পেলে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। সে ভাবেই কাজ করার চেষ্টা করবেন তিনি, আরও বেশি প্রশংসার লোভে।
‘পুষ্পা’ মুক্তির এক বছর আগেই রশ্মিকা সই করেছিলেন প্রথম হিন্দি ছবিতে। যে ছবিতে সিদ্ধার্থ মলহোত্রর সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। ছবির নাম ‘মিশন মঞ্জু’। অন্য দিকে, দ্বিতীয় ছবি ‘গুডবাই’, যে ছবিতে সহ-অভিনেতা হিসাবে পেয়েছেন অমিতাভ বচ্চনকে, সেই ছবিই মুক্তি পেল শুক্রবার।
অন্য দিকে চলতি বছর অগস্টেই পুরী জগন্নাথের পরিচালনায় ‘লাইগার’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছেন বিজয়। ‘জন গণ মন’, ‘খুশি’র মতো ছবি এখন তাঁর ঝুলিতে।