রণবীরকে পেলেই সবাই তাঁর মুখ থেকে রাহার গল্প শুনতে চায়। ফাইল চিত্র
লভ রঞ্জন পরিচালিত নতুন ছবি ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কর’-এ ফিরছেন রণবীর কপূর। মুক্তির আগে প্রচারে যাচ্ছেন এ দিকে-সে দিকে। তেমনই এক অনুষ্ঠানে কথা উঠল তাঁর সদ্যোজাত কন্যা রাহাকে নিয়ে। রণবীরকে পেলেই সবাই তাঁর মুখ থেকে রাহার গল্প শুনতে চায়। আর কন্যার কথা বলতে গেলেই আবেগে গলা বুজে আসে রণবীরের। জানালেন, ভয় করে তাঁর। কিন্তু কেন?
রণবীরের দাবি, যে কোনও মানুষের প্রতি অনুভূতি, কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্বের চেয়েও অনেক অনেকখানি জায়গা জুড়ে রয়েছে কন্যার প্রতি তাঁর আবেগ। তাকে কোলে পেয়ে বিশ্বসংসারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রণবীর। যে সুখের ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছেন তা প্রকাশ করতে পারবেন না বলে জানান। যদি এই সুখ চিরস্থায়ী না হয়, যদি এই আনন্দ তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়? সেই ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন অভিনেতা।
রণবীর বললেন, “আর কোনও কিছুতেই কিছু আসে-যায় না। রাহাকে নিয়ে কথা বলতেও আমার ভয় করে। কারণ, আমায় আবেগে ভরিয়ে রাখে তার চিন্তা। পরিপূর্ণ রাখে। ভয় হয়, যদি সবটা চলে যায়? কিন্তু আমার মাথার ভিতরে কেউ বলে বলে আমায় নিশ্চিন্ত করে যে, আমি যত দিন বাঁচব এই পরিপূর্ণতা আমায় ঘিরে থাকবে।”
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ অভিনেতা আরও বলেন, “যে আনন্দ, উন্মাদনা এবং কৃতজ্ঞতাবোধ আমি অনুভব করি, এর আগে কোনও কিছুর জন্য টের পাইনি। কোনও মানুষ কিংবা কাজ এর আগে আমার কাছে এত গুরুত্ব পায়নি।”
২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রণবীরের স্ত্রী তথা অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট রাহার জন্ম দিয়েছিলেন। মেয়েকে কোলে নিয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন রণবীর। আনন্দ প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন নবজাতককে দেখে। তার পর থেকেই জীবন বদলে গিয়েছে রণবীরের। তিনি জানান, এখন বেশি খাওয়াদাওয়া করে মোটাসোটা হতেও ইচ্ছা করে তাঁর। রণবীরের কথায়, “বাবারা মজবুত না হলে সন্তানদের সঙ্গে খেলবেন কী ভাবে, পরিশ্রম করবেন কী ভাবে! অভিনেতা না হলে খেয়ে, ঘুমিয়ে ওজন বাড়াতাম।”
এর পর রণবীর উল্লেখ করেন অভিনেতা জীবনের যন্ত্রণা। জানালেন, বাইরে থেকে যতই ঝাঁ-চকচকে হন, ভিতরে ভিতরে তারকারা সবাই ক্ষুধার্ত। তাঁরা ইচ্ছামতো খেতে পারেন না। শুধু শরীর বানানো আর বিধিনিষেধ মেনে চলা— এই করতে গিয়েই জীবনের আনন্দ দূরে সরে যায়।