Shree Venkatesh Films

Tollywood: দুই ছবিতে বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনী, একটিতে জুটি অনির্বাণ-সৃজিত

এক ব্যক্তিকে নিয়ে দুই প্রযোজনা সংস্থার টানাটানি। টক্কর?  মানতে নারাজ রানা। তাঁর যুক্তি, একে ‘সুস্থ প্রতিযোগিতা’র তকমা দেওয়াই ভাল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৪৩
দু’টি ছবি তৈরি হতে চলেছে বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে।

দু’টি ছবি তৈরি হতে চলেছে বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে।

২০২২ কি চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের দখলে?

বৃহস্পতিবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে দু’টি খবর। পশ্চিমবঙ্গের রূপকারকে নিয়ে দু'টো জীবনী চিত্র হতে চলেছে। একটির প্রযোজক এসভিএফ। অন্যটি রানা সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই সিনে মহলের কৌতূহল, বিধান তা হলে কার? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল রানার সঙ্গে। রানার জবাব বিধানচন্দ্র গোটা বাংলার, বাঙালির। পাশাপাশি এও দাবি তাঁর, চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনিই প্রথম ফেসবুকে ঘোষণা করেছিলেন, কেউ পশ্চিমবঙ্গের এই চিকিৎসককে নিয়ে জীবনীচিত্রর কথা ভাবেন না! কেবল তিনিই ভেবেছেন। রানাই বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছবি বানাবেন।

এ বার বছর শেষে এসভিএফের ঘোষণা, বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছবি বানাতে চলেছে তারাও। অর্থাৎ, রানার এই ভাবনায় ভাগ বসাতে চলেছে প্রযোজনা সংস্থা।

Advertisement

শুধু ছবির নাম ঘোষণা করেই থামেনি শহরের প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা। জানিয়েছে, বিধান চন্দ্র রায় এবং চিকিৎসক নীলরতন সরকারের মেয়ে কল্যাণী সরকারের প্রেম তাদের ছবির মূল বিষয়। এই ছবিতে থাকবে কলকাতার উপকণ্ঠে নদিয়া জেলায় গড়ে ওঠা কল্যাণী উপনগরীর কথাও। যা বিধানচন্দ্র রায় তৈরি করেছিলেন পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য। তবে কবে থেকে শ্যুটিং, কাকে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে, পরিচালনাই বা কে করবেন? সে কথা সংস্থা এখনও জানায়নি।

এখানেই বাজি মেরেছেন রানা। তাঁর কথায়, ‘‘বিধানচন্দ্র রায় বাঙালির কাছে আবেগ। তাই শুধুই তাঁর প্রেম জীবন নিয়ে ছবি বানানো উচিত নয় বলেই মনে করি। সেই জায়গা থেকেই আমি কোনও সামান্য নয়, বিধান রায়ের উপরে প্রামাণ্য ছবি বানাব।’’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন ছবির অভিনেতা, পরিচালকের নামও। রানার ছবিতে ‘বিধানচন্দ্র রায়’ অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ‘কল্যাণী’ প্রিয়াঙ্কা সরকার। ছবিটি পরিচালনা করবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। প্রযোজক জানিয়েছেন, ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম’-এর শ্যুট শেষ হলেই সৃজিত শুরু করবেন জীবনীচিত্রের শ্যুট।

এক ব্যক্তিকে নিয়ে দুই প্রযোজনা সংস্থার টানাটানি। টক্কর? মানতে নারাজ রানা। তাঁর যুক্তি, একে ‘সুস্থ প্রতিযোগিতা’র তকমা দেওয়াই ভাল। তিনি লিখেওছেন সে কথা, ‘শ্রীকান্তদা (মোহতা) ও মণিদা (মহেন্দ্র সোনি) আমাদের বন্ধু। তাই এই কাজ নিয়ে এসভিএফের সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বরং একটা প্রতিযোগিতা থাকুক, কে, কতটা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।’

প্রশ্ন তবু রয়েই যাচ্ছে, বন্ধুত্বের খাতিরে অনির্বাণকে রানার ছবিতে অভিনয়ের অনুমতি দেবে এসভিএফ? জবাব দিয়েছেন রানা। বলেছেন, ‘‘এর উত্তর দেবে সময়। তবে আমরা জানতাম না, অন্য প্রযোজনা সংস্থাও একই বিষয় নিয়ে ছবি বানাতে চলেছে। তাই প্রথম থেকেই আমাদের পছন্দ অনির্বাণ। পরে এই নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হলে তখন আমাদেরও সেই মতো হয়তো ভাবনায় বদল আসবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন