কল্লোলিনীর বুকে ‘তিলোত্তমা’ রাখি সবন্ত!
দীপাবলিতে ঝলমলে শহর কলকাতা। চারিদিকে আলোর রোশনাই। ধনতেরস উদযাপিত বাড়িতে বাড়িতে। এ হেন কল্লোলিনীর বুকে ‘তিলোত্তমা’ রাখি সবন্ত! বড়বাজারে এক কালীপুজো উদ্বোধন উপলক্ষে শহরে পা রেখেছেন তিনি। অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে প্রাণচঞ্চল শহর, শহরবাসীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের টুকরো মুহূর্ত ধরে রেখেছেন ছোট্ট ছোট্ট ঝলকে। সেই সব ঝলক বলছে, কলকাতায় এসে দারুণ খুশি রাখি। মঙ্গলবার ধনতেরসের সন্ধে। আলোর মালায় সেজেছে বড়বাজারের প্রতিটি অলিগলি। সেখানেই এক পুজো মণ্ডপের সামনে জনতার ভিড়। হাঁটু ছোঁয়া পাশ্চাত্য পোশাকে উপস্থিত ‘ড্রামা কুইন’!
লাল ফিতে কেটে মণ্ডপের উদ্বোধন। পাশে দাঁড়ানো এক অনুরাগী তত ক্ষণে রাখিতে বিমোহিত! তাঁর সেই বিহ্বল দৃষ্টি নজর এড়ায়নি অভিনেত্রীরও। সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপের দিকে দেখিয়ে তাঁর অনুরোধ, ‘‘দাদা, আপনি সামনে দেখুন!’’ তার পরেই অনুরাগীদের অনুরোধে গেয়ে উঠেছেন ‘পরদেশিয়া ইয়ে সচ হ্যায় পিয়া’র মতো বিখ্যাত বলিউডি গান।
চমক তখনও বাকি। বুধবার রাখি সেজেছেন বাঙালি কনের সাজে! লাল টুকটুকে বেনারসিতে সোনালি জরির ফুল, কারুকাজ। আটপৌরে ভঙ্গিতে পরা সেই শাড়ি। মাথায় লাল ওড়না। টায়রা, টিকলি, মুকুট, নেকলেস, হার, শাঁখা-পলা, সোনার বালায় কন্যে অপরূপা। কপালে বড় লাল টিপ। এই সাজেই তিনি কলকাতাকে উজাড় করে দিয়েছেন ভালবাসা। কথা বলেছেন ভাঙা বাংলায়। শুনিয়েছেন ‘বড় লোকের বিটি লো’-র মতো জনপ্রিয় লোকগান। জোড়হাতে প্রণাম জানিয়েছেন শহরবাসীদের উদ্দেশে, ‘‘আমি এখন কলকাতায়। আপনাদের খুব ভালবাসি। শুভ কালীপুজো।’’
এই সাজেই তাঁকে ফ্যাশন শ্যুট করতে দেখা গিয়েছে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে। কখনও জলাশয়ের ধারে, কখনও সবুজ ঘাসের গালিচার উপর নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলেছেন। তার পরেই রাখি উল্লসিত জলাশয়ে নানা ধরনের মাছ দেখে। দাবি, তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই নাকি এই মাছেরা ঝাঁক বেঁধে এসেছে! কলকাতায় এসে অভিনেত্রীও যেন 'বঙ্গনারী'! মাঝের ঝোল, ভাত দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সারার আবদারও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।