বাড়ির গণেশপুজোয় শিল্পা শেট্টি। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই গণেশ পুজোয় মেতেছে গোটা মায়ানগরী। বলিউডের তারকাদের ঘরে ঘরে আবাহন গণপতি বাপ্পার। সিদ্ধিলাভের আশায় গণেশের আরাধনায় মন সকলের। শুধু ভক্তিভরে পুজোই নয়, সবাই মিলে এমন একটি উৎসব উদ্যাপনের সুযোগও ছাড়তে নারাজ বলিউডের তারকারা। হইহই করে গণপতি বাপ্পাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন তাঁরা। পুজোর পরে গণপতি বিসর্জনেও উৎসবের মেজাজ মুম্বইয়ে। শিল্পা শেট্টির বাড়িও তার ব্যতিক্রম নয়। সাদামাটা পোশাকে গণপতি বাপ্পাকে বা়ড়িতে নিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী। তবে বিসর্জনের সময় খাঁটি মরাঠি পোশাকে তৈরি নায়িকা। ঢোলের তালে নেচেও নিলেন কিছু ক্ষণ। তবে শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রর ছবি আবাহনের দিনেও যা ছিল, বিসর্জনের দিনেও ঠিক তাই-ই। স্ত্রী যখন নাচতে ব্যস্ত, তখন রীতিমতো মুখ ঢাকলেন রাজ। তাও আবার কালো রঙের অদ্ভুত এক মাস্কে। ওই মাস্ক পরা অবস্থায় রাজকে দেখলে কেউ রোবট বলেও ভুল করতে পারেন। স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি দাঁড়ানো ছবি ভাইরাল হল সমাজমাধ্যমের পাতায়। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, স্ত্রীর তরফের খামতি পূরণ করতেই নাকি নিজেই ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢেকেছেন রাজ।
অতিমারির সময় থেকেই মাস্ককে রীতিমতো ফ্যাশনে পরিণত করেছেন রাজ। তাঁর আলমারি যে ভর্তি হরেক রকমের মাস্কে, তা বোঝা যায় বিমানবন্দরে বা রাস্তাঘাটে তাঁর দেখা পাওয়া গেলেই। সর্বদাই মুখ লুকোতে ব্যস্ত তিনি। সচেতন ভাবেই কি এই মুখ ঢাকার ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকেছেন রাজ? প্রশ্ন নেটাগরিকদের। ২০২১ সালে পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়ায় শিল্পার স্বামীর। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরই হাজতবাসও হয় তাঁর। প্রায় দু’মাস জেলে কাটানোর পর ছাড়া পেয়েছিলেন রাজ। মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে ৬৩ দিন কাটিয়েছিলেন তিনি। খবর, নিজের সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে একটি ছবিও নাকি বানাচ্ছেন তিনি।
খবর, নিজের জীবনীচিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন রাজ নিজেই। শোনা গিয়েছিল, এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শিল্পার স্বামী। রাজের এই বায়োপিক কে পরিচালনা করবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, সৃজনশীল দিক থেকে ছবির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত থাকবেন রাজ নিজে। অভিনয় তো করবেনই, পাশাপাশি প্রোডাকশনের কাজের দিকে মন দেবেন শিল্পার স্বামী।