দেব আনন্দ। ছবি: সংগৃহীত।
ষাট ও সত্তরের দশকে বলিউডের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম তারকা ছিলেন দেব আনন্দ। ‘কালা পানি’, ‘গাইড’-এর মতো ছবির মাধ্যমে দর্শক ও অনুরাগীদের মনে জায়গা তৈরি করেছিলেন তিনি। বুধবার খবর মিলেছিল, মুম্বইয়ের জুহুতে অবস্থিত দেব আনন্দের বাংলো নাকি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকায়। শুধু বিক্রিই নয়, জানতে পারা যায়, ওই জায়গায় বাংলো ভেঙে নাকি তৈরি হতে চলেছে বিলাসবহুল বহুতল। ওই বাংলোতেই স্ত্রী কল্পনা কার্তিক, পুত্র সুনীল আনন্দ ও কন্যা দেবীনা আনন্দের সঙ্গে জীবনের একটা বড় অংশ অতিবাহিত করেছিলেন দেব আনন্দ। খবর পাওয়া যায়, সেই স্মৃতি মুছে ফেলে ওই জায়গায় নাকি তৈরি হতে চলেছে ২২ তলার বিলাসবহুল এক টাওয়ার। সম্প্রতি সেই খবরকে ‘ভুয়ো’ বলে ঘোষণা করলেন অভিনেতার ভাইপো কেতন আনন্দ।
দিন কয়েক আগে খবর মেলে, দেব আনন্দের জুহুর বাংলোটি বিক্রির জন্য নাকি চুক্তি হয়েছে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার সঙ্গে। জানা যায়, বাংলো বিক্রির কাগজপত্রও নাকি তৈরির কাজ চলছে। প্রায় ৩৫০-৪০০ কোটিতে বাংলো বিক্রির চুক্তির খবর মেলে। তবে কেতন জানিয়েছেন, এই খবর নাকি একেবারেই অসত্য। কেতনের কথায়, ‘‘আমি দেবীনার সঙ্গে কথা বলেছি। এমন কোনও কিছুই হচ্ছে না।’’
১৯৫০ সালে জুহুতে ওই বাংলো বানিয়েছিলেন দেব আনন্দ। অভিনেতা জানান, যখন তিনি ওই এলাকায় বাংলো বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন জায়গাটা অনেক নিরিবিলি ছিল। নিঃসঙ্গতা উপভোগ করতেই ওই জায়গাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য জুহু রীতিমতো জমজমাট হয়ে ওঠে। দেব আনন্দের কথায়, ‘‘১৯৫০ সালে জুহু ছোট্ট একটা গ্রামের মতো ছিল। এখন তো লোকজনে ভরা। বিশেষ করে রবিবার তো সমুদ্রতটে পা রাখা যায় না। আমার আইরিশ পার্কের বাড়ির সামনেও আর কোনও বাগান নেই। এখন সেখানে একটি স্কুল আর কয়েকটা বাংলো তৈরি হয়ে গিয়েছে।’’
চার দশকের বেশি সময় জুহুর বাংলোয় কাটিয়েছিলেন দেব আনন্দ। তবে এখন আর বাংলো দেখাশোনার লোক নেই। ছেলে সুনীল থাকেন আমেরিকায়। মেয়ে দেবীনা ও স্ত্রী কল্পনা থাকেন উটিতে। মুম্বইয়ে সম্পত্তির দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই বলেই বাংলোটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা, এমনই খবর পাওয়া যায়। তবে এই খবর যে আদপে সত্যি নয়, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই তা নিশ্চিত করলেন প্রয়াত তারকার ভাইপো কেতন।