নাকের এক অস্ত্রোপচারের জেরে কর্মজীবন প্রায় শেষ হতে বসেছিল প্রিয়ঙ্কার। ছবি: সংগৃহীত।
নারীপ্রধান ছবির জোয়ার যখন আসছে বলিউডে, তখন একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের জোরে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেকে। তা সত্ত্বেও নাকি একাধিক বার নিজের গায়ের রঙের জন্য কথা শুনতে হয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে। তিনি ‘নায়িকাসুলভ’ নন, এমন কথাও শুনেছেন প্রিয়ঙ্কা। তবু দমে যাননি অভিনেত্রী। এমনিতেই সিনেমার জগতে সৌন্দর্য ও যৌবন ধরে রাখতে হামেশাই ছুরি-কাঁচি চালান নায়কিরা। বলিউডে এমন তারকার সংখ্যা নেহাত কম নয়। এ বার নিজের অস্ত্রোপচার নিয়ে প্রথম বার মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা। সৌন্দর্যবৃদ্ধি করতে অস্ত্রোপচার করাননি। নাকের পলিপের সমাধানে অস্ত্রোপচার করানোর তার পরই নাকি বদলে যায় মুখ। কাজের ক্ষেত্রে নেমে আসে বিপর্যয়। ঠিক কী হয়েছিল প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে?
নিজের স্পাই-থ্রিলার ওয়েব সিরিজ় ‘সিটাডেল’-এর প্রচারের জন্য সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নাকের এক অস্ত্রোপচারের জেরে তাঁর কর্মজীবন প্রায় শেষ হতে বসেছিল। প্রিয়ঙ্কা জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নাসাগহ্বর থেকে পলিপ সরানোর জন্য একটি অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল তাঁকে। তার পর থেকে চোখমুখের পরিবর্তন হতে শুরু করে। একের পর এক ছবি হাতছাড়া হয় তাঁর। পর পর তিনটি ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে, যেখানে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর, সেখানে তাঁকে পার্শ্বচরিত্র দেওয়া হয়। কর্মজীবন এক কথায় টালমাটাল। সেই অবস্থায় প্রায় অবসাদে ডুবতে বসেন অভিনেত্রী।
অবশেষে আরও একটি অস্ত্রোপচার করানোর পরে সমস্যার সমাধান হয়। সেই সময়ে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা অশোক চোপড়া। তিনি থাকার কারণেই নাকি মনের জোর পেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা, জানান ‘দেশি গার্ল’। তবে প্রিয়ঙ্কা তার বই ‘আনফিনিশ্ড’-এ জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের খামতিগুলোর সঙ্গে একাত্ম হতে শিখে গিয়েছেন।