অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। ছবি: সংগৃহীত।
গত ছয় দশকে এমন আন্দোলন দেখেনি হলিউড। ১৯৬০ সালের পর এই প্রথম। ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবি ও কৃত্রিম মেধা ব্যবহারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে পথে নেমেছিলেন হলিউডের লেখক ও চিত্রনাট্যকারেরা। সম্প্রতি সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন হলিউডের অভিনেতারাও। সমষ্টিগত ভাবে ধর্মঘটের ডাক লেখক ও চিত্রনাট্যকার এবং অভিনেতাদের ইউনিয়নের। ইউনিয়ন ও সহকর্মীদের পাশে আছেন, এই মর্মে ধর্মঘটে নিজের সমর্থন জানালেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস।
গত ২ মে থেকে প্রতিবাদ ও আন্দোলনে নেমেছেন হলিউডের লেখক ও চিত্রনাট্যকারেরা। পরিশ্রম ও কাজের ভিত্তিতে ন্যায্য পারিশ্রমিক দিতে হবে, এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, ছবি বা সিরিজ়, বা যে কোনও সৃজলশীল কাজের ক্ষেত্রে শিল্পীদের বিকল্প হিসাবে কৃত্রিম মেধার ব্যবহারের বিরুদ্ধেও সরব হন তাঁরা। মে মাস থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন ‘রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা’ তথা ‘ডব্লিউজিএ’-এর প্রায় ১১ হাজার ৫০০ জন সদস্য। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ‘স্ক্রিন অ্যাক্টর্স গিল্ড— আমেরিকান ফেডারেশন অফ টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস’ তথা ‘এসএজি – আফট্রা’র প্রায় এক লক্ষ ৬০ হাজার সদস্য। গত ১০ দিনের বেশি সময় ধরে নেটফ্লিক্স ও ডিজ়নি স্টুডিয়োর বাইরে ধর্নায় বসেছিলেন লেখক ও চিত্রনাট্যকারেরা। সম্প্রতি সেই ধর্নায় যোগ দেয় অভিনেতাদের ইউনিয়নও। সমাজমাধ্যমে সহকর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, ‘‘আমি ইউনিয়ন ও আমার সহকর্মীদের পাশে আছি। একসঙ্গেই আমরা একটা সুস্থ ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।’’
লেখক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতাদের এই ধর্মঘটের জেরে প্রায় স্তব্ধ হলিউড। সম্প্রতি লন্ডনে হলিউড পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ ছবির প্রিমিয়ার থেকে ছবির কলাকুশলী আমেরিকায় ফিরে আসেন ধর্মঘটে যোগ দিতে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কিলিয়ান মার্ফি, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ম্যাট ডেমন, এমিলি ব্লান্ট, ফ্লোরেন্স পিউয়ের মতো তারকারা। অন্য দিকে, এই মুহূর্তে মুক্তি পাওয়া হলিউড ছবিগুলি বিপাকে না পড়লেও এই ধর্মঘটের জেরে আগামী দিনে বিপর্যস্ত হতে পারে একাধিক ছবির কাজ। খবর, ইতিমধ্যেই থমকে গিয়েছে ‘ডেডপুল ৩’, ‘মিশন: ইমপসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ২’, ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’-এর মতো ছবির কাজ।