প্রতারণার শিকার ঐন্দ্রিলা সেন! নিজস্ব চিত্র।
শাড়ি নিয়মিত পরেন না। কিন্তু অন্য মেয়েদের মতো তিনিও নানা প্রদেশের শাড়ির প্রতি দুর্বল। সম্প্রতি কালোর উপরে সাদা সুতোর কাজ করা কাঞ্চিভরম শাড়ি কিনেছিলেন ঐন্দ্রিলা সেন। সেই শাড়ি পরে সুন্দর করে সেজে ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে ভাগ করেছিলেন। মঙ্গলবার জানতে পারেন, তাঁকে না জানিয়ে ওই ছবি একটি শাড়ি বিক্রেতা সংস্থা ব্যবহার করেছে একটি জনপ্রিয় ইকমার্স সংস্থার ওয়েবসাইটে। ঐন্দ্রিলার শাড়িটিও তাদের বলে দাবি করেছে সংস্থা! এর পরই বিষয়টি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, না জানিয়ে তাঁর মুখ ব্যবহারের পাশাপাশি ক্রেতা ঠকানোর মতো বিষয়টিকে তিনি মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না। আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আইনি পথেই ব্যবস্থা নেবেন।
ঠিক কী ঘটেছে তাঁর সঙ্গে, জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল। ঐন্দ্রিলা বলেছেন, “আমার এক পরিচিত শাড়ি কিনবেন বলে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। তখনই ওই জনপ্রিয় ইকমার্স সংস্থার ওয়েবসাইটে আমার ছবি দেখেন। হোয়াট্সঅ্যাপ বার্তায় জানতে চান, আমি যে শাড়িটি পরে আছি, সেটি ভাল কি না।” প্রথমে বিষয়টি বুঝতেই পারেননি ঐন্দ্রিলা। পরিচিত ব্যক্তি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে স্ক্রিনশট পাঠালে বুঝতে পারেন, অনুমতি না নিয়ে, তাঁকে না জানিয়ে গুজরাতের ওই শাড়ি বিপণি সংস্থা তাঁর ছবি ব্যবহার করেছে। তাঁর শাড়িকে নিজেদের শাড়ি বলে দাবি করেছে।
ঐন্দ্রিলার কথায়, “এখানেই শেষ নয়। আমি পরেছিলাম কাঞ্চিভরম। সংস্থা শাড়িটিকে বেনারসি বলে চালাচ্ছে। তাদের দাবি, খুব কম দামে তারা এত ভাল শাড়ি বিক্রি করছে! নামী ইকমার্স সংস্থা বলে ক্রেতারাও চোখ বুজে বিশ্বাস করছেন। এটা কী করে মেনে নেব?”
অভিনেত্রীর ক্ষোভ, প্রায়ই তিনি নানা ফোন পান। কথা বলে বুঝতে পারেন, প্রত্যেকটি ফোন প্রতারণার। শাড়ি বিক্রেতা সংস্থার সাইটে গিয়ে দেখেছেন, বলিউডের একাধিক তারকা অভিনেত্রীর ছবি একই ভাবে তারা ব্যবহার করেছে। যা প্রতারণার শামিল। তিনিও একই ভাবে ব্যবহৃত হবেন জানার পর এটা তিনি হতে দিতে পারেন না।