সৌমিতৃষার কাছে উৎসব মানেই মায়ের হাতের রান্না।
উৎসব মানেই মায়ের হাতের ঘরোয়া রান্না। আমার মায়ের দুটো বিশেষ পদ আছে। কোনও অনুষ্ঠান এলেই ঘুরেফিরে সেই দুটো রান্নার জন্য বায়না করি মাকে। আজ আমার খুব প্রিয় সেই ২ রেসিপি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করলাম। দেখুন তো, উৎসবের দিন জমে ওঠে কিনা?
বেঙ্গলি প্রন ফ্রায়েড রাইস
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম, বাসমতী চাল ১ কিলো, জল ৪ কাপ, বিনস ১৫০ গ্রাম, গাজর ২৫০ গ্রাম, কাজু, কিশমিশ পরিমাণ মতো, লবঙ্গ ৫টি, তেজপাতা ২টো, নুন-মিষ্টি স্বাদ মতো।
প্রণালী: খোসা ছাড়িয়ে চিংড়ি মাছ ভাল করে ধুয়ে নিন। নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন। চাল ভিজিয়ে রাখুন। গাজর পাতলা করে কেটে নিন। বিনস ছোট টুকরোয় কাটতে হবে। প্রথমে ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করে চিংড়ি মাছ হালকা ভেজে তুলে রাখুন। তার পর আরও একটু তেল দিয়ে তাতে লবঙ্গ, তেজ পাতা ফোড়ন দিন। হালকা ভাজা হলে গাজর, বিনস টুকরো দিয়ে দিন। অল্প নাড়াচাড়া করেই উপরে ভোজানো চাল ছড়িয়ে দিন। তার উপরে ছড়িয়ে দিন ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ, কাজু, কিশমিশ, নুন। চাইলে মিষ্টি দিতে পারেন। এ বার ৪ কাপ জল দিয়ে ঢাকনা আটকে দিন। ঢিমে আঁচে রান্না করুন চাল নরম হওয়া পর্যন্ত। প্রয়োজনে আরও ১ কাপ জল দিতে পারেন। চাল নরম হলেই নামিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ঢাকনা বন্ধ অবস্থায় রেখে দিন। তৈরি ঝরঝরে বাংলা চিংড়ি ভাজা ভাত।
টক ঝাল মাংস
উপকরণ: মাটন ১ কিলো, পেঁয়াজ-আদা-রসুন বাটা, টক দই ১০০ গ্রাম, হলুদ-লঙ্কাগুঁড়ো, আলু (ডুমো করে কাটা), শাহী গরমমশলা, নুন স্বাদমতো, সরষের তেল।
প্রণালী: মাংস ভাল করে ধুয়ে নিন। সমস্ত মশলা, সরষের তেল, টক দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন যতক্ষণ পারেন। এ বার কুকারে তেল গরম করে তাতে আলুর টুকরো ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলেই ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে কিছুক্ষণ কষান। তার পর ২ কাপ জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দিন। দুটো সিটি দিলে নামিয়ে নিন। ভাপ কমলে ঢাকনা খুলে উপরে আলুগুলো সাজিয়ে দিন। আরও ১ কাপ জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে প্রেসারে বসান। আরও ২টো সিটি দিলে নামিয়ে নেবেন। ভাপ কমলে ঢাকনা খুলে উপরে শাহী গরমমশলা ছড়িয়ে দিন। ফ্রায়েড রাইসের সাইড ডিশ তৈরি