রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার
তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন থাকতে নেই, এ কথা অনেক তারকাই জানেন এবং মানেন। তা বলে কাজের খাতিরে যে কোনও আবদার সহ্য করতে হবে তাঁদের? এই প্রশ্নই তুলে দিল রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের শনিবারের একটি পোস্ট। সামাজিক পাতায় অভিনেতা ভাগ করে নিয়েছেন এক অভিজ্ঞতা। সম্প্রতি স্বল্প পরিচিত চিত্রগ্রাহক রাহুলের সঙ্গে ফটোশ্যুটের আগ্রহ জানান। অভিনেতা রাজি হতেই মুঠোফোনে সেই চিত্রগ্রাহকের বেয়াড়া আবদার, ‘দাদা, প্রিয়াঙ্কাদিকে পাওয়া যাবে’?
নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এর পরেই ক্ষুব্ধ রাহুল লেখেন, ‘আমি কিছু ক্ষণ হতবাক হয়ে যাই! আমার আর প্রিয়াঙ্কার ছাড়াছাড়ি হয়েছে আধ দশক হয়ে গিয়েছে। মিডিয়ার কল্যাণে যা সবাই জানে’। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিনেতার সমর্থনে মুখ খুলেছেন কবি শ্রীজাত, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, রূপাঞ্জনা মৈত্র, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, শ্রুতি দাস, রাজর্ষি দে সহ টলিউডের এক ঝাঁক তারকা।
রাহুল আরও জানিয়েছেন, অতি সম্প্রতি পরিচালক রাজর্ষি দে-র আগামী ছবি ‘মায়া’র পোস্টার শ্যুট করতে গিয়ে একজন চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে আলাপ হয় রাহুলের। নাম শান্তনু কর্মকার। তিনি ফটোশ্যুটের জন্য উৎসাহ দেখান। অভিনেতা রাজি হন তাঁর সাম্প্রতিক নেশা ইনস্টাগ্রামের রিল ভিডিয়ো, ছবির জন্য। যদিও তাঁর কথায়, ‘আমি ফটোশ্যুট একেবারেই পছন্দ করি না। নেহাত কাজের জন্য যতটুকু লাগে ততটুকুই। আজকাল ইনস্টাগ্রাম করছি বলেই রাজি হই’| অভিনেতা ভেবেছিলেন, এতে তিনি এবং চিত্রগ্রাহক উভয়েই উপকৃত হবেন।
ফলাফল এক দম উল্টো। রাহুল রাজি হতেই চিত্রগ্রাহকের দাবি, প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিলে তিনি অভিনেত্রীর সঙ্গে শাড়ির ফটোশ্যুট করবেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিদায় জানান রাহুল। চিত্রগ্রাহকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘যদি এক সঙ্গে থাকিও তা হলেও ‘নবাব কিনলে আরাম ফ্রি’ নয়। প্রত্যেকে নিজের যোগ্যতায় জায়গা করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এ রকম একটি নির্বোধের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে ফটোশ্যুট করব না, তাও নয়’। ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের ‘রাজা’র দাবি, যদি কোনও চিত্রগ্রাহক যদি তাঁর সঙ্গে (এবং শুধু তাঁর সঙ্গে) কাজ করতে আগ্রহী হন তা হলে তিনি করবেন।