পাওলি বারবার তাঁর পুরনো জীবনের দিকে তাকিয়ে দেখেন। অস্বীকার করা তো দূরের কথা, মাঝে মধ্যেই সেই জীবনটা ফিরে ফিরে আসে তাঁর চোখের সামনে। শিকড়ে ফিরে যেতে পছন্দ করেন তিনি। তাই মনে পড়ে, প্রাইমারি স্কুলে পড়া ছোট্ট সেই পাওলির কথা। শৈলেন ঘোষের কাছে অভিনয় শেখার সময়ে প্রথম বার মঞ্চে উঠেছিলেন জোনাকি পোকা হয়ে।
পাওলির গোড়ার কথা
শিশুসাহিত্যিক শৈলেন ঘোষের কাছে মঞ্চে অভিনয় শেখা। কিন্তু পর্দায় অভিনয় করার কথা কোনও দিন পরিকল্পনার তালিকায় জায়গা পায়নি। তার পরেও তিনি পাওলি দাম। বাংলা থেকে মুম্বই, তাঁর নাম জানে মানুষ। তাঁর কাজ দেখেছেন বিভিন্ন ভাষাভাষীর দর্শক।
পাওলির গোড়ার কথা জানা গেল আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’-য়। কী ভাবে শুরু হয়েছিল তাঁর অভিনয় যাত্রা?
পাওলি শিক্ষাজগতেই থেকে যাবেন বলে স্থির করেছিলেন। রসায়ন নিয়ে গবেষণা করারও শখ ছিল তাঁর। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ওলটপালট হয়ে যায়। পাওলির কথায়, ‘‘মঞ্চে অভিনয় শিখেছিলাম। একাধিক নাটকে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু পর্দায় অভিনয় করব, এমন ভাবনা কোনও কালেই ছিল না। কোনও সম্পর্কই ছিল না সিনেমার সঙ্গে। কিন্তু কী ভাবে জানি হয়ে গেল। আমার মনে হয়, কোনও কোনও সম্পর্ক আপনাআপনিই হয়ে যায়।’’
পাওলি বলেন, ‘‘আমি হয়তো আর কিছু করতেও পারতাম না। এটাই করার ছিল আমার।’’
পাওলি বারবার তাঁর পুরনো জীবনের দিকে তাকিয়ে দেখেন। অস্বীকার করা তো দূরের কথা, মাঝে মধ্যেই সেই জীবনটা ফিরে ফিরে আসে তাঁর চোখের সামনে। শিকড়ে ফিরে যেতে পছন্দ করেন তিনি। তাই মনে পড়ে, প্রাইমারি স্কুলে পড়া ছোট্ট সেই পাওলির কথা। শৈলেন ঘোষের কাছে অভিনয় শেখার সময়ে প্রথম বার মঞ্চে উঠেছিলেন জোনাকি পোকা হয়ে। মঞ্চের এক উইং থেকে অন্য উইংয়ে দৌড়ে যেত হত। জোনাকি পোকার মতো জ্বলজ্বল করতে করতে আজ তিনি ওয়েব সিরিজ ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান মার্ডার’-এর ‘শবনম সাক্সেনা’।