তখনও সিনেমা সম্পর্কে কিছুই জানি না, কিছুই বুঝি না। তখন থেকে তনু জেঠুর সিনেমা টেলিভিশনে চললেই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতাম। ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বালিকা বধূ’, ‘দাদার কীর্তি’— এই ছবিগুলো দেখেই তো সিনেমার প্রেমে পড়া। অভিনেত্রী হব বলে নয়, বাংলা ছবির প্রতি ভাললাগা তৈরি হওয়া এই ছবিগুলোর হাত ধরেই।
জহুরির চোখ ছিল তাঁর। চরিত্রের জন্য ঠিক খুঁজে খুঁজে বার করতেন অভিনেতাদের। আমার দুর্ভাগ্য ওঁর মতো একজন পরিচালকের সঙ্গে দেখা হয়ে, কথা হওয়ার পরও কাজ করা হল না।
২০০৫-এর কথা। আমার শুরুর সময়ের কথা বলছি। তখনই সুযোগ হয়েছিল ওঁর সঙ্গে দেখা করার। আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন গল্ফগ্রিনের এক ডাবিং স্টুডিয়োতে।
প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছি, বেশ ভয় পেয়েছিলাম। অনেক ছোট ছোট বিষয়ে সেদিন কথা হয়েছিল। পড়াশোনা নিয়ে কথা হয়েছিল। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তোমার চোখের পাতাগুলো নিজের? আমি তখন একদম নতুন, চোখের পাতাও যে কৃত্রিম ভাবে বড় করা যায় তা জানতামই না।
অনেক কথার পর ছবিটা আর হয়নি। ওঁর ছবির একটা আলাদা গন্ধ ছিল। পরে আরও একটা কাজের কথা হয়, কিন্তু তা-ও ফ্লোর পর্যন্ত গড়ায়নি। তনু জেঠুর সঙ্গে কাজ করা হল না। জীবনে এই একটা আক্ষেপ রয়ে গেল।