পল্লবী এবং তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক। ফাইল চিত্র।
অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যু-মামলায় তাঁর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত সাগ্নিককে দফায় দফায় জেরা করেছিল পুলিশ। তারপর মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে গরফা থানা। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪০৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩০২ এবং ১২০(বি) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার গরফা থানায় সাগ্নিককে জেরা করার সময় নিজে হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক অতুল ভি। মূলত, তাঁর তত্ত্বাবধানেই পুলিশের বিভিন্ন প্রশ্নের সামনে পড়তে হয় সাগ্নিককে। চাওয়া হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্যও। সাগ্নিকের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। মৃত অভিনেত্রী এবং তাঁর লিভ-ইন সঙ্গীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে টাকা লেনদেনের তথ্যও মিলেছে।
সোমবার পল্লবীর বাবা নীলু দে পুলিশে অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনি সাগ্নিক, তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার-সহ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। পল্লবীর বাবার অভিযোগ, ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে চেয়েই মেয়েকে খুন করেছেন সাগ্নিক। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছিলেন, পল্লবীর উপার্জিত অর্থও সাগ্নিক আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছিলেন।