পরপর দুটো ছবি আনছেন রাজর্ষি দে। নিজস্ব চিত্র।
তাঁর ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ মুক্তির আগেই পরের ছবির খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। রাজর্ষি দে টলিউডের প্রথম সারির তিন নায়িকা, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান এবং কাউন্সিলর-অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক ফ্রেমে বন্দি করতে চলেছেন। চার নারীর মানসভ্রমণ আর তাঁদের বন্ধুত্বের উদযাপন— ছবির বিষয়। নাম ‘ও মন ভ্রমণ’। কথা ছিল, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুটিং শুরু করবেন। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ছবির কাজ শুরু হয়নি এখনও। খবর, অবশেষে সব সমস্যার সমাধান। রাজর্ষি পরপর দুটো ছবি একসঙ্গে হাতে নিয়েছেন। সত্যিমিথ্যে জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। পরিচালক সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘ও মন ভ্রমণ’-এর পাশাপাশি ‘এ বার দার্জিলিং’ তাঁর নতুন ছবির তালিকায় নয়া সংযোজন।
কিন্তু পটভূমিকায় যে সেই ভ্রমণ! দুটো ছবিতেই? প্রশ্ন রাখতে পরিচালকের যুক্তি, ‘‘কিন্তু বেড়ানোর পটভূমিকা একদম আলাদা। ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ বানানোর পর দেখলাম, দর্শক ওই ঘরানার ছবিই দেখতে চাইছেন। একটা পরিবার কোথাও একসঙ্গে ঘুরতে যাবে। কখনও নানা ঘটনা তাঁদের বে়ড়ানোকে আরও রঙিন করবে। কখনও তাঁদের অতীত সেই ভ্রমণে ছায়া ফেলবে। বলতে পারেন দর্শকের চাহিদাকে সম্মান দিয়েই ‘এ বার দার্জিলিং’ ছবি বানানোর কথা ভাবছি।’’ গল্প পরিচালকের। তাকে চিত্রনাট্যে বাঁধছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। প্রথম ছবির প্রায় প্রত্যেকেই থাকছেন। আর রাজর্ষির ছবি মানেই তারকা এবং অভিনেতার সমাহার। তাই শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তিনি ফ্রেমে বন্দি করতে চলেছেন অঞ্জন দত্তকেও। পরিচালকের যুক্তি, প্রবীণ পরিচালক-অভিনেতা ছাড়া দার্জিলিং যে অসম্পূর্ণ। এ ছাড়াও থাকবেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী। পুরোটাই শুটিং হবে দার্জিলিংয়ে। ক্যামেরায় গোপী ভগৎ। প্রোডাকশন ডিজাইনার নাফিসা।
কিছু দিন আগে মুক্তি পেয়েছে সুমন মৈত্রের ‘আবার অরণ্যের দিনরাত্রি’। সত্তরের দশকে ‘উঠল বাই তো বেড়াতে যাই’-এর নেশায় সাড়া দেওয়ার একচেটিয়া অধিকার ছিল পুরুষের। একুশ শতকে বেড়ানোর নেশায় সাড়া দেন নারীও। ‘আবার অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিতে তেমনই চার বান্ধবী হারিয়ে গিয়েছিল পাহাড়ি পথে। ‘ও মন ভ্রমণ’ ছবির পটভূমিকায় কেন একই ধারার গল্প বেছে নিচ্ছেন রাজর্ষি? তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘রক অন’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’-এর মতো পুনর্মিলনের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। যেখানে বন্ধুত্ব থাকবে, তাকে ঘিরে বিশেষ অনুভূতি থাকবে। বেড়ানোও একটা বড় অংশ নেবে। সেই জায়গা থেকে এই ছবি।’’ এই ছবিতেও দেখা যাবে শ্রাবন্তী, নুসরত, অনন্যাকে। বাড়তি আকর্ষণ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। পরিচালকের রসিকতা, তিন বহুল চর্চিত জনপ্রিয় মুখকে এক ছবিতে ধরা চাট্টিখানি কথা নয়। পটভূমিকায় থাইল্যান্ড।
রাজর্ষির এই ছবির আরও একটি অভিনব বিষয়, ছবির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নারী। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপে সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রোডাকশন ডিজাইনার নাফিসা। পোশাক পরিকল্পক সাবর্ণী দাস। ছবিটি মুক্তি পাবে চলতি বছরেই।