মা-বাবার মধ্যে কাকে বেশি ভালবাসে ছোট্ট ঈশান? মায়ের উত্তর, ‘‘আগে জানতাম ছেলেরা মা-ঘেঁষা আর মেয়েরা বাবা-ঘেঁষা হয়। এখন মনে হচ্ছে, যুগ পাল্টেছে। তার প্রমাণ আমার ছেলে।’’
একটানা সাংবাদিকদের সামনে বসে। ক্লান্তির ছাপটুকুও নেই অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের চেহারায়। যশ দাশগুপ্তের স্ত্রীর চোখে-মুখে এখন মাতৃত্বের আনন্দ। হাসি লেগেই আছে। ছেলে ঈশান জে দাশগুপ্তের কথা বলতে গিয়ে খিলখিলিয়ে উঠলেন।
সবুজ সিক্যুইন ড্রেসের সঙ্গে গোলাপি রঙা জ্যাকেট। খোলা চুল। পায়ে শ্যাওলা রঙের স্টিলেটো।
একটি রেডিয়ো চ্যানেলের ইউটিউব টক শো-য়ে তিনিই সঞ্চালিকা। বৃহস্পতিবার শহরের এক রেস্তরাঁয় সেই তারকাখচিত আলাপচারিতার অনুষ্ঠান— ‘ইশক উইথ নুসরত’-এর সূচনা। সেখানেই অকপট নুসরতের সঙ্গে দেখা।
অনুষ্ঠানের নামের সঙ্গেই লেখা— ‘ভালবাসায় বোল্ড’। প্রেম-অপ্রেম নিয়ে তাই কি সাহসী হলেন নুসরতও? এ বার টক শো-য়ে ‘প্রেম গুরু’ তিনি!
নুসরতের টক শো-য়ে অতিথি হয়ে আসবেন মদন মিত্র, যশ দাশগুপ্ত, ঋতাভরী চক্রবর্তীরা। তাঁর কথায়, ‘‘প্রেম নিয়ে প্রত্যেকেই রীতিমতো আগলহীন আলোচনা করবেন এক একটি পর্বে। প্রত্যেকের অকৃত্রিম আবেগ, অনুভূতি প্রকাশ পাবে।
চমক আরও আছে! টিনএজ প্রেম নিয়ে অজস্র পরামর্শ দেবেন মদন মিত্র!
প্রেম-বিতর্কে বহুচর্চিত অভিনেত্রীর কথায়, “আমার মনে হত, আমারই শুধু প্রেমে সমস্যা। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এই সমস্যা সকলেরই হয়। আর তাই নিয়েই কথা বলব।” তাঁর দাবি, প্রেম নিয়ে সপাটে মুখে খুলেছেন বলেই তাঁকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে টেনে আনা হয়েছে।
শুধু ভালবাসা নয়, বিচ্ছেদ নিয়েও খোলামেলা নুসরত। বললেন, “এই প্রেম জিনিসটা খুব কঠিন। সম্পর্ক ভাঙলে মন ভাঙবেই। কিন্তু নিজেকে নতুন করে সুযোগ দিন।”
“আমি ভাবতাম কেবল আমারই প্রেমে সমস্যা আছে। কিন্তু বাকিদেরও আছে। তারা লুকোয়, তাই জানা যায় না।” বক্তা নুসরত জাহান।
ভালবাসা মানে তো সন্তানদের প্রতি মা-বাবার অনুভূতিও। সে কথা মনে করিয়ে দিলেন তারকা-সাংসদ। সদ্য মা হয়েছেন যে!
ঈশানের প্রসঙ্গ উঠতেই নুসরত হেসে খুন— ‘‘আড়াই মাসের পুচকের যে এত বায়নাক্কা থাকতে পারে, তা ওকে না দেখলে বোঝা মুশকিল!’’
ছেলেকে সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে এতটুকু আপস নয়। রাতে কাজ করলে নুসরতের সকালটা ঈশানের জন্যই বরাদ্দ। আর সকালে কাজ করলে গোটা রাত ছেলের বরাদ্দ।
ঈশানের ছবি কবে দেখতে পাবেন তাঁর অনুরাগীরা? নুসরতের কথায়, ‘‘ঈশানের বাবা তো ওর ছবি দিয়েই দিয়েছে। বাকিটা কবে হবে, অত ভাবিনি। দেখা যাক।’’
নুসরতের মন খারাপের ওষুধ এখন ঈশান। রাজনীতির ক্ষেত্রে বা কর্মক্ষেত্রে কোনও মানসিক চাপ তৈরি হলে ঈশানের কাছে এসে তিনি মন ভাল করেন তিনি।