নিজেই নিজের আয়না হলেন নুসরত
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নুসরত জাহান ধৈর্যশীল শ্রোতার ভূমিকায়। সবার গোপন কথা শুনেছেন মন দিয়ে। কথার পিঠে কথা ছুড়ে দিয়েছেন। প্রশ্নও করেছেন হরেক বিষয়ে। এ বার নিজেই বক্তা, নিজেই শ্রোতা। সেই সুযোগেই নিজের কথা জনসমক্ষে তুলে ধরলেন নুসরত। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলেন, জবাবও দিলেন নিজেই। লাগাতার বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা নায়িকার অকপট স্বীকারোক্তি— ‘‘আমি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ভুল সিদ্ধান্ত নিই। মিনিটে মিনিটে ভুল সিদ্ধান্ত নিই। আমার জীবন। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
একই সঙ্গে নিজের কথার কৈফিয়ৎও দিয়েছেন নুসরত। সাংসদ-তারকার দাবি, তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অন্যের চোখে সাহসী মনে হতেই পারে। কিন্তু ঘটনার সময়ে তাঁর যে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে মনে করেছেন, সেটাই তিনি করেছেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নুসরতের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডায় মেতেছেন মদন মিত্র, যশ দাশগুপ্ত, ঋতাভরী চক্রবর্তী, তনুশ্রী চক্রবর্তীরা। প্রত্যেকেই কোনও রাখঢাক না রেখে জানিয়েছেন তাঁদের প্রেম জীবনের কথা। কামারহাটির বিধায়কের দাবি, ফ্যাটি লিভারের মতোই তাঁর হৃদয়টাও বড়! তাই তিনি ভালবাসায় সাহসী! ঋতাভরী ফাঁস করেছেন, প্রেমিকের রান্নাঘরে একটা সময় তাঁরা ঘনিষ্ঠ হতেন! তনুশ্রীর দাবি, তিনি এমন এক পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন, যিনি বিবাহিত। নুসরতের নিজের জীবনেও প্রেমের আনাগোনা একাধিক বার। কী বলছেন তিনি?
বুধবার নিজের আয়না নুসরত নিজেই। তাই নিজের প্রেম, নিজের জীবন নিয়ে যতখানি সরব হয়েছেন, পুরোটাই বিস্ফোরক। সাহসী অভিনেত্রী সোচ্চার, ‘‘আমি যা-ই করি না কেন তাতেই বিতর্ক! সকলের বক্তব্য— নাও, আবার কিছু ঘটতে চলেছে। তার পরেও আমি সব সময়েই সততায় বিশ্বাসী। এবং সেটাই থেকেছি।’’ নুসরতের কথায়, প্রেম যদি অন্ধই না হয়, তা হলে আর হল কী!
যাঁর প্রতিটি মুহূর্ত এ ভাবেই চর্চায়, তাঁর ব্যক্তিগত বলে কি তা হলে কিছুই নেই? হাসতে হাসতে তারও জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। বলেছেন, বাথরুমের গোপনীয়তাই তাঁর একমাত্র ব্যক্তিগত জায়গা! যেখানে তিনি নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারেন।