আটকে গেল সিঁদুরদান
প্রেম দিবসের রেশ ভাল করে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই জোর ধাক্কা! পুটুপিসির সিঁদুরদানে বাধা! তা হলে কি সমস্ত আয়োজন ব্যর্থ? বন্ধ হয়ে যাবে বিয়ে? এই প্রশ্নেই তোলপাড় স্টার জলসার নেটমাধ্যমের পাতা। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে সারাক্ষণ বিয়ে বাড়ি লেগেই রয়েছে বলে যে নিন্দুকেরা নাক কুঁচকেছিলেন, তাঁরাও চুপচাপ।
কারণ? সিঁদুরদানের সময়েই বিয়ের মণ্ডপে খবর, ফাঁকা বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে দেবলীনা। হাত-পা ঠাণ্ডা। সাড় নেই শরীরে। মুখ দিয়ে ফ্যানা গড়াচ্ছে।
এর পরেও সুকল্যাণের পক্ষে পুটুপিসিকে সিঁদুরদান সম্ভব?
নিমেষে বিয়েবাড়ির সমস্ত আনন্দ শেষ এই অঘটনে। কুনকে পড়ে গিয়েছে সুকল্যাণের হাত থেকে। জোড়ের গিঁট খুলে, বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে উঠে পড়েছে সে। আর পুটুপিসি? আকস্মিক ধাক্কায় হতবাক সেও।
বহু বছর অপেক্ষার পর সুকল্যাণকে নিজের করে পেতে চলেছিল মুখোপাধ্যায় পরিবারের ছোট মেয়ে। তার বিয়ের আয়োজনে পরিবারের সবাই তো বটেই, সানন্দে পাশে দাঁড়িয়ে গুনগুনের বাবাও! সৌজন্য-গুনগুনের বিয়ের উৎসব ফুরোনোর আগেই ফের বাড়ি সরগরম।
দর্শকেরাও নতুন করে উপভোগ করছিলেন পুটুপিসির বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান। আর এই বিয়েকে কেন্দ্র করে ঝগড়া ভুলে ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসছিল সৌজন্য-গুনগুনও। সে সবেই এখন ভাটার টান। এই মুহূর্তে পরিবারের একটাই চাওয়া, সিঁদুরদান যাতে সম্পূর্ণ হয় বাড়ির মেয়ের। নইলে পুটু পিসির জীবনটাই যে তছনছ হয়ে যাবে!
যদিও আপাতত সুকল্যাণ দেবলীনার পাশে। উপস্থিত সৌজন্য, মুখোপাধ্যায় পরিবারের অন্য সদস্যরাও। সেখানেই সুকল্যাণকে সৌজন্যের অনুরোধ, ‘‘এই সময়টায় তুমি যদি একটু বাড়ি চলে যেতে। ১০-১৫ মিনিটের কাজ। রিচুয়ালটা কমপ্লিট করে নিতে। আমরা প্রত্যেকেই তো আছি।’’
তখনই সুকল্যাণের তীব্র প্রতিক্রিয়া, ‘‘তুমি কী বলছ? একটা মানুষ এখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে ফেলে রেখে এখন বিয়ে করতে যাব আমি!’’
পুটুপিসির বিয়ের পাশাপাশি সুকল্যাণের এই কথা আরও একটা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে দর্শক মনে, দীর্ঘ দিন এক ছাদের নীচে দেবলীনার সঙ্গে কাটিয়েছে সে। তাই কি দেবলীনার প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয়েছে সুকল্যাণের মনে?
অজান্তেই কি দেবলীনাকে ভালবেসে ফেলেছে সুকল্যাণ? ‘খড়কুটো’র পর্দা জুড়ে এখন এই একটাই প্রশ্ন।