২০২২ সালে অস্কার মঞ্চে বেফাঁস কথা বলার জন্যই অভিনেতা উইল স্মিথের হাতে চড় খেয়েছিলেন ক্রিস। —ফাইল চিত্র
মজা করতে গিয়ে আবার ভুল করে ফেললেন কৌতুকশিল্পী ক্রিস রক। তবে এই দানে তাঁর বলা কথা ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিল নেটফ্লিক্স। অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময়েই সম্পাদনায় বাদ পড়ল ক্রিসের মন্তব্য। ২০২২ সালে অস্কার মঞ্চে বেফাঁস কথা বলার জন্যই অভিনেতা উইল স্মিথের হাতে চড় খেয়েছিলেন ক্রিস। সেই ঘটনা শুধু বিশ্ববাসীকে তাজ্জবই করেনি, অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছেও লজ্জার অধ্যায় হয়ে রয়ে গিয়েছে। সেই ঘা না শুকোতেই আবার কী ভুল করে বসলেন ক্রিস?
নেটফ্লিক্সে লাইভ শো চলছিল ক্রিসের। সেখানে আবার তিনি উইল স্মিথকে নিয়ে একটি রসিকতা করে ফেলেন। ২০১৬ সালের অস্কারেও নিজের সঞ্চালনার গল্প করতে করতে টেনে আনেন স্মিথের কথা। ২০১৫ সালে স্মিথ অভিনীত ‘কনকাসন’ ছবি নিয়ে বিদ্রুপ করতে গিয়ে সাম্প্রতিক ছবি ‘ইম্যান্সিপেশন’-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। অতঃপর, বিতর্ক দানা বাঁধার আগেই ‘ক্রিস রক: সিলেক্টিভ আউটরেজ’ অনুষ্ঠান থেকে দ্রুত বাদ দেওয়া হয় সেই ‘ভুল’।ক্রিস যদিও সপ্রতিভ ছিলেন গোটা শো-তে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “বেশ কয়েক বছর আগে স্মিথের স্ত্রী (জাদা পিঙ্কেট স্মিথ) বলেছিলেন, আমি অস্কার থেকে বেরিয়ে গেলে ভাল হয়। কারণ ওঁর স্বামী সে বার ‘ইম্যানসিপেশন’-এর জন্য মনোনীত হননি। জঘন্যতম সিনেমা!” এ পর্যন্ত বলার পরই অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পারেন ক্রিস। তাড়াতাড়ি শুধরে নিতে পাল্টা কথার চালে বলেন, “না, ‘ইম্যানসিপেশন’ নয়, আমি মজাটাই ভেস্তে দিলাম।”
এর পর ক্রিস দোষারোপ করে চলেন স্মিথের স্ত্রীকেই, যার কেশবিহীন মস্তক নিয়ে মজা করে স্মিথকে খেপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই জাদার সম্পর্কেই আবার বলে চলেছিলেন, “সব সমস্যার মূলে সেই মহিলা। তিনিই আমায় বলেছিলেন, চাকরি ছেড়ে দিতে, শুধুমাত্র ওঁর স্বামী ‘কনকাসন’ ছবির জন্য অস্কার পাননি বলে!”
প্রসঙ্গত, বছর ঘুরে গিয়েছে, আবার দোড়গোড়ায় অ্যাকাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান। এ বার যাতে আগের বারের মতো অপ্রিয় কোনও ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করছেন অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষ। আগামী ১২ মার্চ লস এঞ্জেলেসের এক প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হবে অস্কারের পুরস্কার বিতরণী পর্ব।