‘বাংলা মিডিয়াম’-এর শুটিংয়ের ফাঁকে নীল-তিয়াসা। নিজস্ব চিত্র।
অনস্ক্রিনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিক্রম ও ইন্দিরার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইন্দিরার বুদ্ধির কাছে হার মানতে হচ্ছে বিক্রমকে। কিন্তু এ বার সে বদ্ধপরিকর। কিছুতেই ইন্দিরার কাছে পরাস্ত হবে না। যদিও এর ফাঁকে বিয়ে সেরে ফেলেছে বিক্রম-ইন্দিরা। কেউ কাউকে পছন্দ করে, এমনটা নয়। পরিস্থিতির চাপে বিয়েটা হয় তাদের। ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকের মুখ্য দুই চরিত্র নীল ভট্টাচার্য (বিক্রম) ও তিয়াসা লেপচার (ইন্দিরা) বাস্তব সমীকরণ কেমন? খোঁজ নিতে সিরিয়ালের সেটে পৌঁছে গেল আনন্দবাজার অনলাইন। এমনিতেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে চলে গিয়েছে সপ্তাহ খানেক হল। তবে এই সিরিয়ালে এখন প্রেমের সপ্তাহ। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-কে কেন্দ্র করে গল্পে আসতে চলেছে নয়া মোড়।
টিভির পর্দায় একে অপরের প্রতিপক্ষ। ক্যামেরার সামনে এক রকম। কিন্তু সিরিয়ালের সেটে একেবারে অন্য রকম এই জুটি। ‘কৃষ্ণকলি’-র পর ফের ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে নীল-তিয়াসা জুটি। শুটিংয়ের ফাঁকে দু’জনে গল্প করেছেন, কখনও আবার যে যার ঘরে পার্ট মুখস্থ করতে ব্যস্ত। তবে তিয়াশার কথায়, ‘‘রেডি হতে কখনওই আমার খুব বেশি সময় লাগে না। চটজলদি করে নিতে পারি।’’ নীল অবশ্য শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে জিরিয়ে নিতেই পছন্দ করেন। সিরিয়ালে সদ্য বিয়ে হয়েছে বিক্রম-ইন্দিরার। নিজের স্বার্থপূরণ করতে ইন্দিরার সামনে এই মুহূর্তে ভাল মানুষের অভিনয় করছে বিক্রম। স্ত্রীর মন জয় করতে কসুর করছে না ভিকি। তবে ইন্দিরার কথায়, বিক্রম যতই যাই করুক, ইন্দিরার বুদ্ধির সঙ্গে পেরে উঠবে না।
তবে অনস্ক্রিন যা-ই চলুক না কেন, ক্যামেরার পিছনে তাঁদের বন্ধুত্বের কথাই বার বার উঠে এসেছে কথোপকথনে। নীলের কথায়, ‘‘প্রায় ছয় বছর হতে চলল একে অপরকে চিনি। ওর সঙ্গে কাজ করতে আলাদা করে ভাবতে হয় না।’’ অন্য দিকে, তিয়াশার কথায়, ‘‘ছয় বছরের আমাদের বন্ধুত্ব গভীর হয়েছে।’’ বন্ধুত্বে মান-অভিমান হয় না? তিয়াসার কথায়, ‘‘না, আমাদের ঝগড়া হয় না, নীল আগেই হার স্বীকার করে নেয়।’’ কথা বলতে বলতেই শট রেডি।
বেলুন দিয়ে সাজানো মার্সিডিজ় গাড়ি হাজির। উঠে বসলেন দু’জনেই। আসলে এই মুহূর্তে প্রেমের অভিনয় করে ইন্দিরার মন গলানোর চেষ্টা করছে বিক্রম। তবে গাড়িতে শট দিতে ওঠার আগে তিয়াসা বলেন, ‘‘ইন্দিরার মন গলানো অত সোজা নয়।’’