ব্যক্তিগত মুহূর্তে ফোটোশিকারির লেন্সবন্দি আলিয়া, তারকাদের ‘প্রাইভেসি’ প্রসঙ্গে কী বলছেন টলিপাড়ার নায়িকারা? ছবি: ফেসবুক।
কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের ‘রেড কার্পেট’ হোক কিংবা রেস্তরাঁয় পরিবারের সঙ্গে খেতে যাওয়া হোক— তারকাদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হয় আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায়। তাই তো লেন্স থেকে নিজেদের লুকিয়ে রাখতে অনেক সময় ছদ্মবেশও ধারণ করেন তাঁরা। তবে মঙ্গলবার সব সীমাই যেন লঙ্ঘিত হয়ে গেল। মুম্বইয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় বসে সময় কাটাচ্ছিলেন আলিয়া ভট্ট। ঠিক সেই মুহূর্তেই ফোটোশিকারিদের লেন্সবন্দি হন নায়িকা। তাতেই বেজায় চটেছেন তিনি। মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে সমাজমাধ্যমে ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি। তবে এই সমস্যার মুখোমুখি কি শুধুই হিন্দি সিনেমার অভিনেতারা?
এক বছর আগের কথা। টলিপাড়া তখন সরগরম অভিনেত্রী নুসরত জাহানের সঙ্গে যশ দাশগুপ্তর সম্পর্ক এবং তাঁর আসন্ন সন্তানের চর্চায়। বাড়ি থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নায়িকার গাড়িকে রীতিমতো ধাওয়া করেছিল আলোকচিত্রীদের ক্যামেরা। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর কি সত্যিই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকে না? মঙ্গলবার আলিয়ার সঙ্গে ঘটা ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে গোটা বলিউড।
তারকাদের ‘প্রাইভেসি’ প্রসঙ্গে কী বলছেন টলিপাড়ার নায়িকারা? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় নুসরত জাহান এবং পাওলি দামের সঙ্গে। নুসরতের কথায়, “জনপ্রতিনিধিদের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি থাকে তা ঠিক। ভক্তদের আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে, আমাদের জীবনধারা নিয়ে অনেক বেশি কৌতূহল থাকে তা-ও ঠিক আছে। কিন্তু বর্তমানে যে ধরনের অভ্যাস শুরু হয়েছে আলোকচিত্রীদের যাঁদের পাপারাৎজ়ি বলা হয়, অনেক সময়ই নিজেদের এক্তিয়ার ভুলে যায়। প্রতিটি পেশায় কিছু সীমা থাকা উচিতl। ছাদে উঠে লেন্স জ়ুম করে তারকাদের ঘরের ছবি তোলা কিংবা তারকাদের গাড়ি ধাওয়া করে তাঁদের নিয়ে খবর করা খুবই অনুচিত।”
পাওলিও নুসরতের সঙ্গে সহমত। তাঁর মতে, প্রত্যেকেরই নিজের সীমার মধ্যে থাকা উচিত। পাওলি বলেন, “আমাদের প্রাইভেসি তো লঙ্ঘন হয়ই। সব সময় সতর্ক থাকা আমাদের পক্ষেও সম্ভব হয় না। যাঁরা এই কাজ বা পেশার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরও বিবেক থাকা দরকার। তাঁদের বোঝা উচিত, কোনটা করবে, কোনটা করবে না। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবন আছে, সেটা সবাইকেই মাথায় রাখতে হবে। নিজেদের গণ্ডিগুলো নিজেদেরই ঠিক করে নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভক্তদের কৌতূহল মেটাতে এগুলো করা হয়। দিনের শেষে এটাও মাথায় রাখা দরকার, যাঁদের ছবি লুকিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁরাও মানুষ।”