বেশ কয়েকটি হাতি অসুস্থ। —ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চল এবং সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি অসুস্থ হাতির সন্ধান মেলায় উদ্বেগ বাড়ছে বন দফতরের। সম্প্রতি ক্রান্তি ব্লকের আপালচাঁদ জঙ্গলে জখম একটি হাতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক হয়েছে। এ বার সেবকের কাছে মংপং বনাঞ্চলে একটি শ্লথ গতির হাতির সন্ধান মিলেছে। স্থানীয়দের দাবি, ওই হাতিটি অসুস্থ। আবার জখমও হতে পারে। থাকতে পারে চোখের সমস্যাও। কালিম্পংয়ের ডিএফও চিত্রক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা একটি হাতির উপরে বিশেষ নজর রাখেছি। হাতিটি মংপংয়ের জুরন্তি নদীর কাছাকাছি রয়েছে। মাঝেমধ্যে বনাঞ্চলেও ঢুকছে। হাতিটি অসুস্থ কিংবা জখম কি না, এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
সেবকের পাশেই মংপংয়ের বনাঞ্চল। পাশে পাহাড়। বনের পাশে ছয় একরের মতো জনবসতিও আছে। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, একটি হাতি জনবসতির কাছাকাছি চলে আসছে। হাতিটির গতি খুবই শ্লথ। তা বয়সজনিত সমস্যার কারণেও পারে। সম্প্রতি ডামডিমের গুম্ফা এলাকার কাছেও একটি বয়স্ক শ্লথ হাতি ছিল। সেই হাতিটিও মংপংয়ের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওই হাতির উপরে নজর রাখার আবেদন জানিয়েছে পরিবেশপ্রেমীরা। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতে বিক্ষিপ্ত ভাবে জখম কিংবা অসুস্থ হাতির সন্ধান মিলছে। এই হাতিগুলির দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। মংপংয়ে রেললাইনও আছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।’’
এ দিকে, মালবাজার এলাকায় হাতির দলের আনাগোনা চলছেই। মালবাজার ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা জুড়ে আলু চাষ হয়েছে। আলু খেতে হানা দিচ্ছে হাতি। লাটাগুড়ি এবং তারঘেরা বনাঞ্চল থেকেই হাতির দল এই গ্রামে হানা দিচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের আওতাধীন মালবাজার বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের আধিকারিকেরা। শুক্রবার রাতেও এলাকাগুলিতে টহল চলেছে। শীতের রাতে আনাজ রক্ষা করতে রাত জাগছেন গ্রামবাসীও। বন্যপ্রাণ-মানব সংঘাত মেটাতে ডামডিম চা বাগানে সচেতনতা শিবির হয়েছে।