Nawazuddin Siddiqui

অবসাদ শহুরে অসুখ, গ্রামের লোকেদের কাছে এ সব পাত্তা পায় না, দাবি নওয়াজ়ের

নওয়াজ়ের মতে, গ্রামের লোকজনের কাছে ‘অবসাদ’ শব্দটা এতটাই অচেনা যে, কেউ যদি তার বাবাকে বলে, ‘আমি অবসাদে ভুগছি’, বাবা তাকে চড়ই মেরে দেবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৩ ১৭:২৪
Nawazuddin Siddiqui says depression is an urban concept born out of privilege

অভিনেতার দাবি, অবসাদের ধারণা অনেক বেশি শহুরে। সেখানে ক্ষুদ্রতম আবেগকেও ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখায় লোকজন। ছবি: সংগৃহীত।

অবসাদ যে এখন গোটা বিশ্বের সমস্যা, তা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন। তবে, অভিনেতা নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি এই বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁর সাফ কথা, অবসাদের ধারণাটা একেবারে শহরকেন্দ্রিক। অর্থবানদের ঘরেই এই ব্যাধির জন্ম, মত নওয়াজ়ের। অভিনেতার দাবি, প্রাচুর্য থেকেই আসে অবসাদ। সরল জীবনে অবসাদের চিহ্নমাত্র থাকে না। যাঁরা সুবিধাভোগী নন, তাঁদের কাছে এ সব শব্দের কোনও অর্থ নেই। মুজফ্‌ফরনগর জেলার ছোট্ট শহর বুধানাতে জন্মেছিলেন নওয়াজ়।

তাঁর মতে, অবসাদের ধারণা অনেক বেশি শহুরে। সেখানে ক্ষুদ্রতম আবেগকেও ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখায় লোকজন। নওয়াজ়ের মতে, গ্রামের লোকজনের কাছে ‘অবসাদ’ শব্দটা এতটাই অচেনা যে, কেউ যদি তার বাবাকে বলে, ‘আমি অবসাদে ভুগছি’, বাবা তাকে চড়ই মেরে দেবেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘আমি যে জায়গা থেকে এসেছি, সেখানে এই সব অবসাদের কথা বাবাকে বললে টেনে এক চড় মেরে দিত। গ্রামে কেউ অবসাদে ভোগে না। ওখানে সবাই সুখী। আমি উদ্বেগ, অবসাদ, বাইপোলার— এ সব শব্দ শিখেছি শহরে এসে।’’

নওয়াজ়ের মতে, সাধারণ মানুষ, যাঁরা সুবিধাভোগী নন, তাঁরা এ সব জানেন না। তাঁর সাফ কথা, ‘‘আপনি একজন শ্রমিক বা ফুটপাতবাসীকে অবসাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে দেখুন তো! বৃষ্টি এলে তাঁরা নাচেন! অবসাদ কী, তাঁরা জানেন না। টাকাপয়সা হাতে এলেই অবসাদের মতো সমস্যা গ্রাস করে।’’

আগামী দিনে ‘জোগিরা সারা রা রা’-র মতো রোম্যান্টিক কমেডিতে দেখা যাবে নওয়াজ়কে। সহ-অভিনেত্রী নেহা শর্মা। আগামী ২৬ মে ছবিটি মুক্তি পাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement