এত বছরের দাম্পত্যে বন্ধুত্ব আর প্রেম হাত ধরাধরি করে চলেছে শাহিদ-মীরার জীবনে। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যামেরায় পোজ় দেওয়ার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যে থাকে তারকাদের জীবনে, তা মনে করিয়ে দিলেন অভিনেতা শাহিদ কপূরের স্ত্রী মীরা রাজপুত। ছেলেমেয়ের ঘরে রেখে অনুষ্ঠানে এসেছেন, তবু তারাই জীবনের অগ্রাধিকার মীরার। আলোকচিত্রীরা সম্প্রতি তাঁকে ঘিরে ধরলে পালিয়ে বাঁচতে চাইলেন শাহিদ-পত্নী। জানালেন, অনেক রাত হল, পর দিন ভোরে উঠতে হবে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাবে যে! তাই তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর কথায় তাজ্জব চিত্র সাংবাদিকরাও। কী হল তার পর?
তারকাদের ছবি তোলার জন্য আলোকচিত্রীরা সব সময়েই মুখিয়ে থাকেন। অনেক সময় ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়েন বলে তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে তারকাদের। কেউ হাসিমুখে ছবি তোলেন, কেউ বিনীত ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন।
গত শনিবার মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মীরা রাজপুত। শাহিদ-পত্নী যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন, আলোকচিত্রীরা অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর ছবি তোলার। তিনি অনুরোধ করেন তাঁকে যেতে দিতে। সাদাকালো বডিকন পোশাকে সেজেছিলেন মীরা। চুলে বেঁধেছিলেন পনিটেল। ভিডিয়োতে দেখা যায়, আলোকচিত্রীদের মুখোমুখি হয়ে মীরা বলছেন, “আমার বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে কাল সকালে, আপনারা আমায় যেতে দিন।”
বলেই অবশ্য হেসে ওঠেন মীরা। আলোকচিত্রীরাও আপত্তি জানাননি, পথ আটকাননি তাঁর। লিফ্টে উঠে যাওয়ার সময় আলোকচিত্রীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন মীরা। সেই ভিডিয়ো ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। যা দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন অনুরাগীরা। এক জন মন্তব্য করলেন, “কতখানি নিয়মানুবর্তী এবং স্বনির্ভর তিনি! আদর্শ মা।” ভালবাসা ভরা নানা মন্তব্য ভেসে এল সেই সঙ্গে। কেউ লিখলেন, “মানবিক কাজ করেছেন সাংবাদিকরাও, ওঁকে আটকে রাখেননি।” সন্তানের প্রতি মীরার এই দায়িত্ববোধ মুগ্ধ করেছে অনেককেই।
২০১৫ সালে বিয়ে করেন শাহিদ-মীরা। দেখাশোনা করে বিয়ে হয় তাঁদের। এত বছরের দাম্পত্যে বন্ধুত্ব আর প্রেম হাত ধরাধরি করে চলেছে শাহিদ-মীরার জীবনে। দম্পতির রসায়ন বলিপাড়ায় অনন্য উদাহরণ রেখেছে। তাঁদের দুই সন্তান। কন্যা মিশা কপূর, পুত্রের নাম জৈন।