(বাঁ দিকে) ঋতুপর্ণ ঘোষ। নচিকেতা চক্রবর্তী (ডান দিকে)।। ছবি: সংগৃহীত।
ছবিতে গানের ব্যবহার না-পসন্দ নচিকেতা চক্রবর্তীর। গানকেও চরিত্র হয়ে উঠতে হবে, ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে একটি ঘরোয়া আড্ডায় এমনই জানিয়েছিলেন গায়ক। সম্প্রতি সেই পুরনো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ল সমাজমাধ্যমে। নচিকেতার বক্তব্য, “ছবির নিজস্ব ভাষা আছে, সুর আছে। এর পরে জোর করে গান যোগ করার দরকার নেই।” তিনি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন, এর আগে এই প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণও সহমত ছিলেন নচিকেতার সঙ্গে।
তৎকালীন ট্রেন্ডি ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ঋতুপর্ণকে নচিকেতা বলেছিলেন, “আমি বলছি না, তোমার ছবি বাণিজ্যিক ছবি নয়। তোমার ছবি মানুষ দেখছে, তাদের ভাল লাগছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “কিন্তু এর বাইরে আরও এক ঘরানার ছবি আছে যেগুলো শুধুই মনোরঞ্জনের ছবি। সেই ছবিতে প্রচুর গানের ব্যবহার রয়েছে।”
কোনও বিষয়ে মতামত জানাতে কখনও পিছপা হন না নচিকেতা। বললেন, “কেউ কিছু মনে করবেন না। একটা গানও একটুও বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয় না আমার।” এই প্রসঙ্গে সুমন, পল্লবের কথা উল্লেখ করলেন তিনি। নিজেকেও সংযোজন করে বললেন, “আমরা তো বুদ্ধিদীপ্ত গান বানাই। তা হলে ছবির গানের জন্য আমাদের ডাকা হয় না কেন?” আরও বললেন, “আমরা যে জনপ্রিয় নই তা তো নয়!” ঋতুপর্ণ তাঁর কথায় সায় দিয়ে বললেন, “নিশ্চয়, জনপ্রিয়তা রয়েছে, গান নিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে।’’
ঋতুপর্ণর কথায়, “কিছু ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে, গানের স্রষ্টা হিসাবে তোমার একটা স্বতন্ত্র সত্তা রয়েছে। একটা ছবির মধ্যে সেটা যোগ করতে গেলে দুইয়ের মধ্যে সংঘাত তৈরি হতে পারে। তোমার অহংকার আছে সেটা বলছি না কিন্তু।” তিনি আরও জানিয়েছিলেন, নচিকেতার ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটিই একটি সম্পূর্ণ গল্প হতে পারে। সেটি আরও একটি গল্পে জুড়ে দিতে গেলে সামঞ্জস্যের অভাব হতে পারে। পরিচালকের মনে হয়েছিল, নচিকেতার গান হয়তো ছবিতে দেখানো পরিস্থিতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে।