বুধবার আইনক্সে বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘মুখোশ’-এর প্রিমিয়ার তারকা ঝলমলে। শ্রীকান্ত মোহতা আর মহেন্দ্র সোনি তথা এসভিএফ প্রযোজিত ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, কৌশিক সেন, পায়েল দে, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, অনির্বাণ চক্রবর্তী।
বাংলা তথা জাতীয় সিনেমার এক পরিচিত মুখ বিরসা দাশগুপ্ত। বিভিন্ন ধারার ছবিতে পরিচালনার দক্ষতা প্রকাশ করেছেন তিনি। ‘মুখোশ’ ছাড়াও তাঁর ঝুলিতে আছে ‘বিবাহ অভিযান’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘ক্রিসক্রস’-এর মতো ছবি। সম্প্রতি ‘ব্ল্যাক উইডোজ়’ সিরিজে তিনি বলিউডেও স্বকীয়তার ছাপ রেখেছেন।
কৌশিক সেন বাংলা মঞ্চ ও ছবির দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। ‘মুখোশ’-এও তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘জুলফিকার’, ‘রাজকাহিনী’, ‘দৃষ্টিকোণ’, ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে।
‘মুখোশ’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখলেন পায়েল দে। যদিও তিনি ছোট পর্দায় যথেষ্ট জনপ্রিয় মুখ। অনির্বাণের বিপরীতে এই ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রেম টেম’ ছবির নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ও ‘মুখোশ’-এর প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন। ‘প্রেম টেম’ ছাড়াও ‘মারদোনার জুতো’ আর ‘প্রিয় চরিত্র’-এ তাঁকে দেখা গিয়েছে।
টলিউডের পরিচিত মুখ সাহেব ভট্টাচার্য। ‘গোরস্থানে সাবধান’, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’, ‘ডবল ফেলুদা’-র মতো ছবিতে তোপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও ‘ইতি মৃণালিনী’, ‘ভীতু’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘বেলা শেষে’, ‘মাটি’র মতো জনপ্রিয় ছবির কথা উঠলেই সামনে আসে মনামী ঘোষের নাম। বাংলা সিনেমা আর ছোট পর্দায় তাঁর অবাধ গতি। বহু বছর ধরেই তিনি বিভিন্ন ধারাবাহিকে অভিনয়ের দৌলতে দর্শকের কাছে 'ঘরের মেয়ে' মনামী। তিনিও এসেছিলেন প্রিমিয়ারে।
‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ আর ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’র মতো সফল ও জনপ্রিয় সিনেমার পরিচালক ধ্রুব বন্দোপাধ্যায় বুধবার ‘মুখোশ-এর প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর পরবর্তী ছবি দেব অভিনীত ‘গোলন্দাজ’-এর প্রথম ঝলক সিনে দুনিয়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অলিভিয়া সরকার বাংলা ছোট পর্দার পরিচিত মুখ। ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’, ‘জয়ী’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। প্রিমিয়ারে তাঁকেও দেখা গিয়েছে।
বিরসার ছবিতে অভিনয় করেছেন টোটা রায়চৌধুরীও। আপাতত তাঁর নাম বললেই এক সঙ্গে উচ্চারিত হয় ফেলুদা আর রোহিত সেন--- এই নাম দুটো। বড়, ছোট পর্দার পর ওয়েবেও টোটা সমান সফল। বলিউডেও তাঁর পরিচিতি যথেষ্ট।
বিদীপ্তা চক্রবর্তী, নামটুকুই যথেষ্ট। মঞ্চ থেকে ছবি হয়ে ছোট পর্দা---- বিদীপ্তা সবেতেই সফল। ‘ড্রকুলা স্যার’, ‘নগরকীর্তন’, ‘চল লেট’স গো’য়ের মতো ছবি তাঁর তুরুপের তাস।
অতি সম্প্রতি রণবীর সিংহের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করে চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন অঙ্গনা রায়। তাঁকে দেখা গিয়েছে তারকাদের ভিড়ে।
'মুখোশ'-এ রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিতে আবহ এবং গানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব অনায়াসে সামলেছেন নবারুণ বসু। এই ছবি ছাড়াও নবারুণ বসু ‘রেনবো জেলি’ ও ‘ট্যাংরা ব্লুজ়’-এর সঙ্গীত পরিচালনা করেন। অনির্বাণ চক্রবর্তী আপাতত বিখ্যাত ‘একেন বাবু’ এবং 'জটায়ু' হিসেবে।
লকডাউন ওঠার পরে প্রথম হলমুক্তি ঘটল রহস্য রোমাঞ্চ জঁরের ছবি ‘মুখোশ’ দিয়ে। পরিচালক থেকে প্রযোজক এবং অভিনেতাদের তাই আশা, বাংলা ছবির বাণিজ্যে জোয়ার আনবে বিরসা দাশগুপ্তের এই ছবি।