(বাঁ দিকে) রাইমা সেন এবং মুনমুন সেন (ডান দিকে)। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
সোমবার সকালে দিল্লিতে ছিলেন মুনমুন সেন। তার মাঝেই দুঃসংবাদ। জানতে পারেন স্বামী ভরত দেববর্মা আর নেই। দিল্লিতে ছিলেন কন্যা রাইমাও। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতার বিমান ধরেন মা-মেয়ে। বিকেল ৪টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন তাঁরা। তখন বাবার মরদেহের পাশে বসে ছোট মেয়ে রিয়া।
সকালে খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হয়েছিলেন সুচিত্রা সেনের বাড়িতে। বিকাল গড়াতেই বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বেদান্ত আবাসনের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। স্থানীয়দের কৌতূহল, মুনমুন কখন শহরে ফিরবেন। মুনমুন এবং রাইমা যাতে বিমানবন্দর থেকে দ্রুত বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে একই গাড়িতে ফেরেন মুনমুন এবং রাইমা। মুনমুনের পরনে ছিল ঘিয়ে রঙের কো-অর্ড সেট। অন্য দিকে রাইমার পরনে ছিল কালো কুর্তা।
এ দিকে অভিনেত্রীর স্বামীর প্রয়াণের খবর পেয়ে একে একে তারকারা আসতে শুরু করেন বালিগঞ্জের বাড়িতে। আবীর চট্টোপাধ্যায়, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রা আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন। হেমন্তের সূর্য একটু তাড়াতাড়ি ডোবে। অন্ধকার নামার আগেই ভরতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন ঊষা উত্থুপ, তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তরা। সকলেই অপেক্ষা করছিলেন এমন এক কঠিন মুহূর্তে মুনমুনের জন্য। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়ির বাইরে আসেন মুনমুন। সঙ্গে রাইমা। তবে রিয়া বাইরে আসেননি। মুনমুন জানান, আজকের পর থেকে জীবনটা বদলে যাবে তাঁর। তাঁর কথায়, “খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। সকলকে আগলে রাখতেন। আমাদের জীবনটাই বদলে যাবে।” বাবার অভাব বোধ করবেন, জানালেন বড় মেয়ে। রাইমার কথায়, “শেষ সময় পাশে থাকতে পারলাম না। বাবাকে খুব মিস্ করব।”
সাড়ে ৬টা নাগাদ আরও একবার মুনমুনের বাসভবনে এসে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেওড়াতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা ভরতের। কিছু আত্মীয়ের জন্য অপেক্ষা করছে পরিবার।