‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ প্রসঙ্গে সমালোচকদের একহাত নিলেন মিঠুন চক্রবর্তী ছবি: সংগৃহীত
অস্কারের দৌড়ে ২০২২-এর সমাদৃত ও একই সঙ্গে সমালোচিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। ১৯৯১ সালে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণপ্রস্থানের পটভূমিকায় তৈরি এই ছবি মুক্তির আগে থেকেই শিরোনামে। ২০২৩ সালের অ্যাকাডেমি প্রকাশিত প্রথম মনোয়নের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। যদিও এই ছবিতে অনেক কিছুই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে বলেই দাবি করেছেন কাশ্মীরিদের একাংশ। এই ছবি দেশে যেমন সমালোচিত হয়েছে, তেমন বিদেশেও অনেক জায়গায় এই ছবিকে প্রচারসর্বস্ব বলেই দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের প্রায় গোটাটাই এই ছবি কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক চলেছে। ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর পক্ষ নিতে দেখা গিয়েছে অনুপম খেরদের মতো অভিনেতাদের। তবে নিঃশ্চুপ ছিলেন ছবির অন্যতম তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। অস্কারে এই ছবি মনোনয়ন পেতেই সমালোচকদের জবাব দিলেন অভিনেতা।
ইজ়রায়েলি পরিচালক নাভাদ লাপিদ বলেন, ছবিটি অশ্লীল, হিংসাত্মক, প্রচারমূলক। সে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্রায় সব সমালোচকের উদ্দেশেই মিঠুন বলেন, ‘‘অ্যাকাডেমি পুরস্কারে মনোয়ন পেয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবিটি, জেনেই ভাল লাগছে, সমালোচকরা যথার্থ জবাব পেলেন।’’
মিঠুন ইজ়রায়েলি পরিচালকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘যে পরিচালক ছবিটিকে প্রচারমূলক, অশ্লীল বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনিও জবাব পেলেন। দর্শক ছবিটিকে পছন্দ করেছেন। বিশ্বের কাছে স্বীকৃতি পেল ছবিটা।’’
শেষে অভিনেতার সংযোজন, ‘‘আমি বিতর্কিত কিছু বলতে চাই না। যখন ছবিটি ভারতের অনেক সিনেমা হলে মুক্তি আটকে ছিল, দুঃখ পেয়েছিলাম। তবে ভারতীয় ছবি অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। আমি সকলকে অভিনন্দন জানাতে চাই।’’
মনোনয়ন পাওয়া একটা ধাপ উতরে যাওয়া, তবে শেষ অবধি বিবেকের ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ অস্কার পায় কি না, তা ভবিষ্যৎ বলবে।