মিমি চক্রবর্তী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। ১৪ অগস্ট মেয়েদের ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচিতেও শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু তার এক সপ্তাহ পরে অভিনেত্রীকেই সমাজমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি দেন এক নেটাগরিক। সেই ঘটনা নিজেই প্রকাশ্যে আনেন এবং এর বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগও জানান তিনি। ফের নতুন একটি পোস্টে মিমি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, হুমকি দিয়ে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
স্পষ্টবাদী হিসেবেই পরিচিত টলিপাড়ার অভিনেত্রী। দিন কয়েক আগে এক নেটাগরিক মিমির উদ্দেশে লেখেন, “আরজি করের ঘটনা মিমির সঙ্গে হলে ভাল হত।” এই মন্তব্যের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন অভিনেত্রী। এ বার এক নেটপ্রভাবীর বক্তব্য নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিলেন মিমি। নেটপ্রভাবী ভিডিয়োয় বলেন, “মেয়েদের বাঁচানোর প্রসঙ্গ পরে। আগে ছেলেদের শেখানোর দায়িত্ব আমাদের। কারণ মেয়েদের সঙ্গে নির্মম ঘটনার পরেও লোকজন প্রশ্ন করছে, মেয়েটি কী পোশাক পরেছিলেন? কোথায় ছিলেন? তখন রাত না কি দিন? যেখানে ২ বছরে শিশুকন্যা বা ৭০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষিতা হচ্ছেন, সেখানে এমন প্রশ্ন কী ভাবে করা যায়?”
এই পোস্ট ভাগ করে মিমি লেখেন, “এই নিয়ে কোনও তর্ক করাই যায় না। কাপুরুষের দল, আমায় গালাগাল করে কোনও লাভ হবে না। আমাকে থামানো যাবে না। আমাকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আমি নির্ভীক হয়েই জন্মেছি। আমাদের মেয়েরা-বোনেরা সকলেই এমন নির্ভীক। আমাদের মেয়েদের বিরুদ্ধে যারা, তাদের সকলের বিরুদ্ধে এই লড়াই। ওরা ভাবে ওরাই বেশি শক্তিশালী লিঙ্গ এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।”
পোস্টের শেষে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মিমি লেখেন, “লজ্জা! আপনাদের পারিবারিক শিক্ষাও লজ্জার। আপনাদের গোটা অস্তিত্বই লজ্জার।”