কী বলছেন মহেন্দ্র সোনি? গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।
নিজেরাই ইতিহাস গড়েছিলেন। গুঞ্জন, নিজে থেকেই নাকি সেই ইতিহাস ভাঙতে চলেছেন শ্রীকান্ত মোহতা, মহেন্দ্র সোনি! বাংলা বিনোদন দুনিয়ার বেশ কিছু কালের খতিয়ান বলছে, শারদোৎসব এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার ছবি ছাড়া নাকি অসম্পূর্ণ! এ দিকে পুজোর আর হাতেগোনা কয়েকটি দিন। প্রযোজনা সংস্থার ঝুলিতেও সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তীর ছবি রয়েছে। তবু তাদের থেকে কোনও সাড়াশব্দ নেই! শ্রীকান্ত-মহেন্দ্র কি এ বছরের পুজোয় কোনও ছবিই উপহার দেবেন না?
কেন এই সম্ভাবনা দেখছে বাংলা সিনেমহল? খবর, রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবির শুটিং বন্ধ হওয়ার পর থেকেই নাকি সিঁদুরে মেঘ দেখছে টলিউড। ছবিটি নানা কারণে প্রযোজনা সংস্থার তুরুপের তাস ছিল। এক, গত বছর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দশম অবতার’-এর পর এই ছবিতে ফের পর্দাভাগ করার কথা ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-অনির্বাণ ভট্টাচার্যের। গত বছরের ছবির সাফল্য অনুযায়ী, এই জুটির রসায়ন মন কেড়েছে সাম্প্রতিক প্রজন্মের। এ ছাড়াও, বাণিজ্যসফল দক্ষিণী ছবি ‘গরুড়ন’-এর বাংলা রূপান্তর করবেন বলে স্থির করেছিলেন রাহুল। এই ছবির কেন্দ্রে এক ধর্ষিতা। তাঁকে ঘিরে প্রশাসন আর অপরাধীর টানাপড়েন। টলিপাড়ার বক্তব্য, সেই কারণেই নাকি ছবির শুটিং বন্ধ। নেপথ্যে আরজি কর-কাণ্ড। বাস্তব আর পর্দা একাকার হয়ে গেলে নতুন করে আগুন জ্বলতে কত ক্ষণ? আবার এমনও গুঞ্জন বাতাসে ভাসছে, সৃজিত নাকি তাঁর তৈরি সফল জুটি প্রসেনজিৎ-অনির্বাণকে অন্য পরিচালকের হাতে তুলে দিতে চাইছেন না! যদিও এই গুঞ্জনের নাকি জোরালো প্রমাণ মেলেনি।
এ দিকে খবর, এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার ঝুলিতে সৃজিতের আরও একটি ছবি ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ এবং রাজ চক্রবর্তীর ‘তনয়’ ছবিটি রয়েছে। প্রথম ছবিটি তারকাখচিত। রাজের ছবির মুখ্য আকর্ষণ মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু দেব অভিনীত সৃজিতের ‘টেক্কা’ আর মিঠুন চক্রবর্তীর ‘শাস্ত্রী’ ইতিমধ্যেই পুজোতে মুক্তি পেতে চলেছে। বিনোদন দুনিয়ার অলিখিত নিয়ম, একই অভিনেতা বা পরিচালকের একাধিক ছবি পুজোয় মুক্তি পেতে পারে না। সেই নিয়মের গেরোয় নাকি আটকে গিয়েছেন সৃজিত-মিঠুন দু’জনেই।
তা হলে এ বারের পুজো কি এসভিএফের ছবি ছাড়াই কাটবে? জবাবে নীরব শ্রীকান্ত। তিনি ফোনে অধরা। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল প্রযোজনা সংস্থার আরও এক কর্ণধার মহেন্দ্রের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, “আমি শহরের বাইরে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু জানাতে পারছি না। দিন কয়েক পরে কলকাতায় ফিরব। পুজোর ছবি নিয়ে শ্রীকান্ত এবং প্রযোজনা সংস্থার বাকিদের সঙ্গে কথা বলব। তার পর জানাতে পারব।”