নিষিদ্ধ তৃপ্তির স্বাদ প্রেক্ষাগৃহে বসে আস্বাদন করেছেন লক্ষ লক্ষ দর্শক, এখনও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে চলেছেল সমাজমাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় ছবিতে চুম্বনদৃশ্য নিয়ে ছুতমার্গ? না, ইদানীং আর নেই। এক সময় সেন্সর বোর্ডের কাঁচি এড়িয়ে অল্পস্বল্প ঘনিষ্ঠ দৃশ্য গুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করতেন নির্মাতারা। সে চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে হোক, বা বাড়তি মেদ হিসাবে, দর্শকের কাছে সিনেমার লাবণ্য অন্তরঙ্গ দৃশ্যেই। নিষিদ্ধ তৃপ্তির স্বাদ প্রেক্ষাগৃহে বসে আস্বাদন করেছেন লক্ষ লক্ষ দর্শক। এখনও বিভিন্ন পুরনো ছবির সেই দৃশ্যের ভি়ডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয় যায় সমাজমাধ্যমে। সেগুলি বার বার উপভোগ করেন অনেকেই। জানেন কি, বলিউডের দীর্ঘমেয়াদি চুম্বনদৃশ্য রয়েছে কোন ৫ সিনেমায়?
বেফিকরে
রণবীর সিংহ ও বাণী কপূর ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছিলেন ‘বেফিকরে’-এ। এই ছবিতে তাঁরা মোট ২৩ টি চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করেছেন। দর্শকের মতে, বলিউডে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চুম্বনদৃশ্য দেখানো হয়েছে এই ছবিতেই।
ফিতুর
২০১৬ সালে আদিত্য রায় কপূর ও ক্যাটরিনা কইফ অভিনীত ‘ফিতুর’ ছবিতে টানা ৩ মিনিটের চুম্বনদৃশ্য ছিল। যা দর্শকের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে।
জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা
জোয়া আখতারের এই ছবিতে হৃতিক রোশন ও ক্যাটরিনা কইফের আবেগপূর্ণ চুম্বন দৃশ্যটি প্রায় ৩ মিনিট ধরে দেখানো হয়েছিল পর্দায়। ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, চুম্বনদৃশ্য তাঁদের মনে গেঁথে থাকবেই।
রাজা হিন্দুস্তানি
সবচেয়ে উথালপাথাল চুম্বনদৃশ্য এই ছবিতেই। বৃষ্টির মধ্যে গাছের নীচে আমির খান ও করিশ্মা কপূরের আবেগঘন চুম্বনদৃশ্যটি ভোলার উপায় নেই। তাবড় হলিউড ছবির চুমু-রোমাঞ্চকে হারিয়ে দিতে পারে রাজা হিন্দুস্থানি। দৃশ্যটি নেহাত সংক্ষিপ্ত ছিল না। প্রায় মিনিটখানেক জুড়ে দেখানো হয়েছিল পর্দায়।
ইয়ে সালি জিন্দেগি
অদিতি রাও হায়দারি ও অরুণোদয় সিংহ স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। যেখানে ঝগড়া মানেই ঠোঁট ঠোঁট রাখা। ২০১১ সালের এই ছবিতে তাঁদের চুম্বনদৃশ্য মোট ২২ বার দেখানো হয়।
কর্ম
১৯৩৩ সালের এই ছবিতে হিমাংশু রাই এবং দেবিকা রানির চুম্বনদৃশ্যটি সম্ভবত হিন্দি ছবির ইতিহাসে দীর্ঘতম ছিল। প্রায় চার মিনিটের কাছাকাছি ছিল এই দৃশ্য। সেই সময়ের পর্দায় চুম্বনই যথেষ্ট সাহসী। দেবিকা রানির সাহসকে অনেকেই ‘স্পর্ধা’ হিসাবেই দেখেছিলেন। তবে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এই দৃশ্য নিজস্ব জায়গা করে নিতে পেরেছে দেবিকা রানির সাহসের জন্যেই।