হবু স্বামী জয় গান্ধীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের রোড ট্রিপে গিয়েছিলেন বৈভবী। ছবি: সংগৃহীত।
পাহাড়ে গিয়েছিলেন ছুটি কাটানোর জন্য। সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না বৈভবী উপাধ্যায়ের। গত ২৪ মে মৃত্যু হয় টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীর। হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বৈভবী। সেই গাড়ি দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকের সৌজন্যের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বৈভবীর মৃত্যুর খবর জানান ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকের প্রযোজক জেডি মাজেঠিয়া। জানা যায়, দুর্ঘটনার পরে নাকি গাড়ির জানলা দিয়ে বেরিয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা আর হয়নি। মাত্র ৩২ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন ছোট পর্দার বহুল পরিচিত ‘জ্যাসমিন’।
হবু স্বামী জয় গান্ধীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের রোড ট্রিপে গিয়েছিলেন বৈভবী। হিমাচলের পাহাড়ি রাস্তায় চণ্ডীগড়ের কাছে বাঁক নেওয়ার সময় খাদে পড়ে যায় গাড়ি। জয়ের তেমন চোট না লাগলেও গুরুতর আঘাত লাগে বৈভবীর। আঘাত লেগে মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয় অভিনেত্রীর। গাড়িটি খাদে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে নাকি জানলা দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন বৈভবী। এতেই তাঁর মাথায় চোট লাগে, দাবি কুলুর পুলিশ আধিকারিকের। কোনও জায়গায় মাথা ঠুকে গিয়েই বিপত্তি বাধে। বঞ্জার সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকের প্রযোজক জেডি মাজেঠিয়া দাবি করেন, দুর্ঘটনার সময় নাকি সিট বেল্ট পরা ছিল না বৈভবীর। তার ফলেই নাকি আরও বেশি আঘাত পান তিনি। তবে এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন জয়। অভিনেত্রী বাগ্দত্তর দাবি, তাঁরা দু’জনেই সিট বেল্ট পরে ছিলেন। তবে, সিট বেল্ট পরে থাকলে কী ভাবে গাড়ির জানলা দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করলেন বৈভবী? উঠছে প্রশ্ন।
হিন্দি ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন বৈভবী। ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকের দ্বিতীয় সিজ়নে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এ ছাড়াও ‘আদালত’, ‘সিআইডি’, ‘ক্যায় কসুর হ্যায় আমলা কা’র মতো হিন্দি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। ২০২০ সালে ‘ছপাক’ ছবিতেও দীপিকা পাড়ুকোন ও বিক্রান্ত ম্যাসির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।