(বাঁ দিকে) কর্ণ জোহর। কেএল রাহুল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
‘কফি উইথ কর্ণ’ রিয়্যালিটি শোয়ে শুধুই বিনোদন দুনিয়ার মানুষ নন, অতিথি হয়ে আসেন ক্রীড়াজগতের ব্যক্তিরাও। সে রকমই একটি পর্বে অতিথির আসনে ছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য এবং কেএল রাহুল। প্রথম শারীরিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ আসতেই বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেন দু’জন। সেই মন্তব্যের জেরে নারীবিদ্বেষী ও যৌনবাদীর তকমা মেলে। ভারতীয় ক্রিকেট দল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হয় তাঁদের। অবশেষে ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন কেএল রাহুল।
তাঁর কথায়, “আমাকে স্কুল থেকে কখনও বহিষ্কার করা হয়নি। এমনকি কখনও শাস্তিও পেতে হয়নি। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুষ্টুমি করেছি। কিন্তু অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো বা শাস্তি পাওয়ার মতো কিছু ঘটেনি কোনও দিন।” তিনি আরও যোগ করলেন, “সেই বিতর্কিত মন্তব্য আর তার পরে ভারতীয় ক্রিকেট দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা আমার জীবনে প্রথম। আমি বুঝতেই পারছিলাম না কী ভাবে সামলাব।” ক্রিকেটারের কাছে সেই ঘটনা দুর্বিষহ এক অভিজ্ঞতা। ক্রমাগত তীব্র কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন কেএল রাহুল। ঘটনার পর থেকে নিজের পরিসরও ক্রমশ ছোট করে ফেলেছেন তিনি। সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতেন, এই বুঝি কোনও বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন।
কর্ণ জোহরকে হার্দিক ও রাহুল জানিয়েছিলেন, প্রথম বার শারীরিক সম্পর্কের পরে বাড়ি ঢুকে মা-বাবাকে জানিয়েছিলেন তাঁরা। “আজ ম্যায় করকে আয়া”, তাঁদের এই বক্তব্য ঘিরেই নিন্দার ঝড় ওঠে। কর্ণ প্রশ্ন করেছিলেন, একজন মহিলাকে যদি দু’জনেই পছন্দ করেন বসেন তা হলে তাঁরা কী করেন? উত্তরে রাহুল জানিয়েছিলেন, সেই মহিলার উপর তাঁরা ছেড়ে দেবেন বিষয়টি। বলেন, “এ রকম কোনও ব্যাপার নেই। প্রতিভার উপর নির্ভর করে। যে পাবে সে নিয়ে যাবে।” সেই পর্ব সম্প্রচারের পরে দু’জনকেই তুলোধনা করেন দর্শক। উল্লেখ্য, বর্তমানে আথিয়া শেট্টির সঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন রাহুল। অন্য দিকে, সার্বিয়ান মডেল নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে চার বছরের দাম্পত্য শেষ করে হার্দিক এখন একা।