সংসারে আমির খানের যোগদান নিয়ে মুখ খুললেন কিরণ রাও। ছবি: সংগৃহীত।
ছেলে আজ়াদের স্কুল বা পড়াশোনার যাবতীয় খোঁজ রাখেন কিরণ রাও। বাবা হিসাবে নাকি কিছুই জানেন না আমির খান। সম্প্রতি করিনা কপূর খানের সাক্ষাৎকারে কিরণ বললেন, ‘‘আমির একজন ব্যস্ত বাবা।’’ ২০২১-এ বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন আমির ও কিরণ। যদিও তার পরেও তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌজন্যের সম্পর্ক বজায় রয়েছে।
একসঙ্গে সন্তান মানুষ করা মোটেও খুব সহজ বিষয় নয়। রীতিমতো বুদ্ধি করে সন্তান মানুষ করতে হয় বলে মনে করেন কিরণ। আমিরের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে থাকাকালীনও আজ়াদকে বড় করার বিষয়ে অভিনেতার তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না বলেই দাবি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর। তবে বিবাহবিচ্ছেদের পরে আমির নাকি বুঝতে পেরেছেন, ছেলে আজ়াদের জন্য সময় বার করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিরণের কথায়, “আমির খুবই ব্যস্ত বাবা। সত্যি কথা বলতে, আমরা যখন বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলাম, অভিভাবক হিসাবে প্রাথমিক কাজগুলি আমিই করতাম। কিন্তু আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের পরে মনে হয় আমিরও বুঝতে পারে, আজ়াদকে ওর কতটা সময় দেওয়া উচিত।”
কেন বিবাহবিচ্ছেদের পরেই আমির বুঝলেন, ছেলেকে তাঁর সময় দেওয়া উচিত? কিরণের কথায়, “আসলে এক বাড়িতে থাকলে সময় না দিলেও বিষয়গুলি ততখানি প্রকট হয়ে ওঠে না। কিন্তু আলাদা থাকার পরে অনেক ভেবেচিন্তেই আমির সময় বার করে আজ়াদের জন্য।” তাই বিবাহবিচ্ছেদের পরে আমিরের সঙ্গে ছেলের অভিভাবকের কাজ করা আরও সহজ হয়ে উঠেছে। আলাদা থাকলেও এখনই কাজ ভাগাভাগি করে আজ়াদকে বড় করা সহজ হয়ে উঠেছে বলে জানান কিরণ।
কিরণ বলেন, “এখন আমির অনেক বেশি খোঁজ খবর রাখে। আমরা একই বহুতলের ভিন্ন ফ্লোরে থাকি। তাই আমি বাইরে কোথাও গেলেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। আজ়াদ নিজেও বড় হয়েছে। আমিরের কাছে রেখে নিশ্চিন্তে কোথাও যেতে পারি।”
তবে একটি বিষয় এখনও আমির পিছিয়ে। পরিচালকের কথায়, “আজ়াদের স্কুলের ব্যাপারে কিছুই জানে না আমির। আমার মনে হয়, এটা সব বাবারই সমস্যা। স্কুলের বিষয় কোনও ভাবেই জড়াতে চায় না। অন্য দায়িত্ব নিতে ওঁদের সমস্যা নেই।”