ছেলে তৈমুরের সঙ্গে করিনা। ছবি: সংগৃহীত।
আলোকচিত্রীদের ভিড়ে বলিউড তারকাদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। বাড়ি থেকে বেরোলেই পিছু নিচ্ছে ক্যামেরা। ছবি এবং ভিডিয়ো চাই-ই চাই! বলিউডে একাধিক তারকা রয়েছেন, যাঁরা আলোকচিত্রীদের দেখলেই দুর্ব্যবহার করেন। তাঁদের দেখলেই মেজাজ হারান বহু তারকা।বাড়ির বাইরে পা রাখলেই যেন ক্যামেরা তাড়া করে তাঁদের। তারকাদের জিম থেকে শুরু করে বিমানবন্দর একান্ত যাপনের মুহূর্ত— সর্ব ক্ষণই ধাওয়া করছেন ছবিশিকারির দল। রেয়াত করছেন না তারকা সন্তানদের। এই তারকা সন্তানদের মধ্যে জন্মের পর থেকে যে সব থেকে বেশি চর্চিত, সে করিনা কপূর ও সইফ আলি খানের ছেলে তৈমুর আলি খান। ছোট বয়স থেকে ছবিশিকারিদের নজরে তৈমুর। সে কোথায় যাচ্ছে কী করছে প্রতিটা মুহূর্তে ক্যামেরা বন্দি করতে চান তাঁরা। কারণ চাহিদা আছে। তবে তৈমুরের ছবি জোগান দিতে গিয়ে তার শৈশবটাই নষ্ট করে দিতে বসেছিলেন ছবিশিকারিরা!
সম্প্রতি তৈমুরের রুদ্রমূর্তি দেখেছিলেন ছবিশিকারিরা। মায়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় যখন শত শত ক্যামেরা ঝলসে উঠেছিল সে সময় চেঁচিয়ে বলতে শোনা গিয়েছিল তৈমুরকে, ‘‘থামুন!ছবি তুলবেন না।’’ এতটুকু ছেলের আচরণে চমকে উঠেছিলেন চিত্রগ্রাহকেরা। সে নিয়ে বিস্তর কথা উঠেছিল। শুধু তা-ই নয়, একদিন ছোট ভাই জাহাঙ্গিরের ছবি তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়া সাংবাদিকদেরও আটকেছিল তৈমুর।
করিনার বড় ছেলেকে নিয়ে তার জন্মের পর থেকে আলোকচিত্রীদের অতি উৎসাহ। সে কোথায় পড়তে যাচ্ছে, কোথায় খেলতে যাচ্ছে, কিংবা স্কুলে যাচ্ছে সেখানেই ধাওয়া করছেন ছবিশিকারির দল। প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ছোট্ট তৈমুর। মুম্বইয়ের এক নামী চিত্রসাংবাদিক নিজেই জানান, তৈমুরের ছবি তুলতে প্রতিদিন ছবিশিকারিদের ভিড় থাকত তার বাড়ির সামনে। একবার পড়তে যাচ্ছে তৈমুর, পিছন থেকে ধাওয়া করেন জনা পঞ্চাশেক চিত্রগ্রাহক। তাতেই ঘাবড়ে যায় ছোট্ট তৈমুর। শুধু তা-ই নয়, ভয় পেয়ে যান তার ন্যানিও। শেষমেশ সইফ আলি খানকে নামতে হয় ময়দানে। তিনি প্রায় সকলকে ফোন করে অনুরোধ করেন, তৈমুর যাতে আর পাঁচটা বাচ্চার মতো বড় হয়ে উঠতে পারে সেই জন্য যাতে সহযোগিতা করেন ছবিশিকারিরা। শেষমেশ সইফের কথা রাখতে বাধ্য হন তাঁরা। এখনও ছবি তোলেন, তবে আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।