—প্রতীকী চিত্র।
ফের বিতর্কে ‘বিগ বস্’। তবে সলমন খান সঞ্চালিত ‘বিগ বস্’-এর হিন্দি সংস্করণ নয়, বিপাকে ‘বিগ বস্ কন্নড়’। ‘বিগ বস্ কন্নড়’-এর ঘর থেকে গ্রেফতার হলেন রিয়্যালিটি শোয়ের দশম সিজ়নের অন্যতম প্রতিযোগী ভর্থুর সন্তোষ। গলায় বাঘের নখের লকেট পরার জন্য তাঁকে পাকড়াও করেছে বন দফতর। বাঘের নখ কেনাবেচা করা আইনবিরোধী। ‘বিগ বস্ কন্নড়’-এর ঘরে ভর্থুরকে বাঘের নখের লকেট পরে দেখা যাওয়ার পরেই তা নজরে আসে বন দফতরের। সেই ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছিল এফআইআর। ২২ অক্টোবর ‘বিগ বস্ কন্নড়’-এর ঘর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন বনকর্মীরা।
২২ অক্টোবর ‘বিগ বস্ কন্নড়’-এর ঘরে হাজির হন বন দফতরের কর্তারা। সেখানে গিয়ে ভর্থুরের গলার লকেটটি পরীক্ষাও করেন তাঁরা। পরীক্ষা করে দেখা যায়, আসল বাঘের নখ দিয়ে তৈরি ওই লকেট। তার পরই বনকর্মীরা ‘বিগ বস্ কন্নড়’ কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানান, যাতে ওই প্রতিযোগীকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ‘বিগ বস্’-এর ঘর থেকে ভর্থুর বেরিয়ে আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করেন বনকর্মীরা।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ভর্থুরের গলার ওই লকেটের বিষয়ে দর্শকের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। দর্শকের অভিযোগের পরেই ‘বিগ বস্’-এর ঘরে যান বনকর্মীরা। রিয়্যালিটি শোয়ের প্রতিযোগী বলে ‘বিগ বস্’ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিও নিতে হয়েছিল তাঁদের। তার পরেই ভর্থুরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আয়োজকেরা। বাঘ এ দেশে অন্যতম বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। বাঘের নখের ব্যবসা করা আইনত অপরাধ। যদিও ভর্থুরের দাবি, বছর তিনেক আগে হোসুরে ওই বাঘের নখ পেয়েছিলেন তিনি। বন দফতরের আধিকারিকের মতে, তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে তাঁর।