বর্তমানে নিজের পরিচালিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে তুমুল ব্যস্ত কঙ্গনা।
স্বচ্ছ সাদা লেসের পোশাকে কঙ্গনা রানাউত। মাথায় চূড়ো করে বাঁধা খোঁপা। গলায় সোনালি নেকলেসের লকেট নেমে এসেছে বক্ষ-বিভাজিকায়। কাঁধে সরু স্ট্র্যাপ, স্তনের অর্ধেক অনাবৃত। নিম্নাঙ্গে সাদা ট্রাউজার্স। চোখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে অভিনেত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছেন নদীর ধারে। পড়ন্ত বিকেলের হলদে রোদ এসে মাখামাখি তাঁর খোলা কাঁধে। ছবিটি পুরনো। নেটমাধ্যমে পোস্ট করে কঙ্গনা লিখলেন, নারীরা কারও ইচ্ছায় পোশাক পরেন না। তাঁদের মর্জি অনুযায়ী সাজেন। এ নিয়ে কারও কথা বলার এক্তিয়ার নেই।
বর্তমানে নিজের পরিচালিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে তুমুল ব্যস্ত কঙ্গনা। সে ছবি সত্তরের দশকে ভারতের জরুরি অবস্থা নিয়ে। যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ছবিতে তাঁর ভূমিকাতেই দেখা যাবে কঙ্গনাকে। ছবির ঝলক দেখে অনুরাগীরা বলছেন, তাঁকে মানিয়েছেও বেশ। কাঁচা-পাকা চুল, সাদা শাড়িতে যেমন ফুটে উঠেছে তাঁর ব্যক্তিত্ব, তেমনই কঙ্গনা স্বচ্ছ পোশাকেও সপ্রতিভ। মঙ্গলবার ছবির মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাইলেন সেই বার্তাও। কঙ্গনা লিখেছেন, “জোর দিয়ে এটাই বলতে চাইছি যে, এক জন নারী কী পরবেন অথবা পরবেন না, অথবা কী পরতে ভুলে গিয়েছেন— সবই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে বাইরের লোক কথা বলতে পারেন না।”
কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই একাধিক বিষয়ে নিজের মত জানাতে দ্বিধা বোধ করেন না বলিপাড়ার এই কন্যা। তিনি মানেই বিতর্ক। আর চার-পাঁচ জন নায়িকার মতো তিনিও দামি পোশাক পরেন ঠিকই, আবার একেবারে সস্তার পোশাক পরতেও তিনি যে বেশ স্বচ্ছন্দ, সে দৃষ্টান্ত নিজেই সম্প্রতি তুলে ধরেছিলেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছেন কঙ্গনা। তাতে দেখা গিয়েছে, অভিনেত্রীর পরনে শাড়ি। যে শাড়ির দাম শুনে চমকে উঠেছিলেন সকলে। কঙ্গনা দাবি করেছেন, ওই শাড়িটি তিনি কলকাতা থেকে কিনেছেন। যার দাম মাত্র ৬০০ টাকা। হ্যাঁ, একেবারে সস্তায় কেনা শাড়িই তিনি পরেছেন। যা দেখে অবাক হয়েছেন তাঁর ভক্তদের একাংশ।
‘স্টাইল’ মানেই যে সব সময় আন্তর্জাতিক সংস্থার পোশাক পরতে হবে, তার কোনও মানে নেই। এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন বলিপাড়ার ‘কুইন’। সেই সঙ্গে দেশে তৈরি জিনিস কেনার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। পশ্চিমি পোশাক পরার পাশাপাশি ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হওয়ার বার্তাও দিয়েছেন কঙ্গনা।