আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন জাভেদ, অভিযোগ কঙ্গনার
২০২০ সাল। মুম্বইয়ের আদালতে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন প্রবীণ গীতিকার এবং লেখক জাভেদ আখতার। সম্প্রতি, সেই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আদালতে দাঁড়িয়ে বললেন, অভিনেতা হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করার পরে আখতার তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন। অপমান করেছিলেন।
কঙ্গনার দাবি, জাভেদ তাঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তাঁর সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।
তাঁর কথায়, ‘‘জাভেদ আমায় বলেছিলেন, আমরা প্রতারকদের পিছনে সময় ব্যয় করি না। জনসাধারণের সামনেও তোমার আসল চেহারাটা পরিষ্কার করা দরকার। তোমার সম্পর্ক হৃতিকের সঙ্গে তো নয়, প্রতারকদের সঙ্গে ছিল। জানাজানি হলে মুখে এমন চুনকালি নিয়ে ঘুরতে হবে যে, আত্মহত্যা করা ছাড়া আর তোমার অন্য কোনও উপায় থাকবে না। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। ক্ষমা চেয়ে নিজেকে বাঁচাও। ভাল পরিবারের মেয়ে হয়ে লজ্জায় ডুবে যাবে, খারাপ লাগে না? তোমার ইজ্জত বাঁচাতে হলে জেদ কোরো না।’’ এ সবের পরও কঙ্গনা নিজের মানসিক শক্তি ধরে রেখেছিলেন বলে জানান।
২০২০ সালে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের সময় কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জাভেদ। আদালত জুহু পুলিশকে আখতারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তী কালে, আদালত অভিযোগ খতিয়ে দেখে কঙ্গনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। তাতেই গীতিকার জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধেও পাল্টা মানহানির মামলা করেন কঙ্গনা রানাউত। সেই মামলা আজও চলছে।