দেবের হয়ে প্রচারে কাঞ্চন মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত।
শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। সেখানে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চনকে। তাঁকে দেখে মহিলারা ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন, এই জন্যই নাকি বিধায়ককে নেমে যেতে বলেন কল্যাণ। বিনা বাক্যব্যয়ে নির্দেশ পালন করেন কাঞ্চনও।
এই ঘটনার পরই কাঞ্চনকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ঘাটালে আমন্ত্রণ জানান দেব। প্রায় পাঁচ দিনের মাথায় দেবের ডাক পেয়ে ঘাটালের দু’বারের সাংসদ দেবের হয়ে প্রচারে যান কাঞ্চন। ঘাটাল থেকে ফিরে এসে আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রচারাভিযানের অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি।
পরনে সাদা শার্ট ও জিন্স কাঞ্চনের। অন্য দিকে দেব পরেছিলেন ধূসর রঙের টিশার্ট ও জিন্স। চোখে রোদচশমা। কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও আবার গাড়িতে চেপে প্রায় সারাটা দিন ঘাটালের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধু দেবের হয়ে প্রচার করেন কাঞ্চন।
ফিরে এসে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতা বললেন, ‘‘দেব আমাকে নিজে ডেকে নিয়েছিল প্রচারের জন্য। মানুষের যেন ঢল নেমেছিল! পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সকলে এসেছিলেন। তাঁদের ভালবাসা পেলাম। তাঁদের আবেগ, উচ্ছ্বাস চাক্ষুষ করতে পেরে আমি আপ্লুত।’’
তা হলে কল্যাণের থেকে পাওয়া ‘দুঃখ’ কি ঘুচিয়ে দিলেন দেব? কাঞ্চনের কথায়, ‘‘আসলে কল্যাণদা তাঁর মতো। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার, যা তিনি করেছেন। অন্য দিকে দেবের বদান্যতা রয়েছে, নিজে থেকে এগিয়ে এসেছে। দেবের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং ওঁর হয়ে প্রচার করতে পেরে আমি খুশি।’’
উত্তরপাড়ার বিধায়ককে দেখলেই নাকি ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন মহিলারা, কিন্তু ঘাটালের মহিলাদের থেকে কেমন ব্যবহার পেলেন তিনি? কাঞ্চন বলেন, ‘‘দেখুন, সে দিন যেটা হয়েছে, সেটা যে কোনও মানুষেরই খারাপ লাগবে। ওই দিন কল্যাণদা আমাকে বললেন, যেয়ো না, আমি যাইনি, ব্যস। আর মহিলারা গ্রহণ করলেন কি না, সে প্রসঙ্গে আমি বলব, ‘‘মুখের কথা নয়, চোখের দেখাটা আসল। তার প্রমাণ রয়েছে আমার সমাজমাধ্যমের পাতায় দেওয়া ভিডিয়োতে। মানুষ দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। সকলে সাড়া দিয়েছেন। আমি সম্মানিত।’’
অন্য দিকে কাঞ্চনকে পাশে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দেবও। কল্যাণকাণ্ড প্রসঙ্গে কাঞ্চন বাংলা ছবির উদাহরণ টেনে বললেন, ‘‘হাত বাড়ালেই বন্ধু! আমি তৃণমূল কর্মী। যে প্রার্থী ডাকবেন, আমি যাব।’’