(বাঁ দিক থেকে) রজনীকান্ত, রাম চরণ, কমল হাসন। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা সেজে উঠেছিল রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে। রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে অযোধ্যায় ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, আলিয়া ভট্ট, রণবীর কপূর, ক্যাটরিনা কইফ, ভিকি কৌশল, আয়ুষ্মান খুরানার মতো বলিউড অভিনেতারা। শুধু তাঁরাই নন, ঐতিহাসিক ওই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে অযোধ্যায় হাজির হয়েছিলেন রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, রাম চরণের মতো দক্ষিণী তারকারাও। তবে দেখা যায়নি দক্ষিণী বিনোদন জগতের মেগাতারকা কমল হাসনকে।
রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে নিজের অনুপস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন কমল নিজে। তারকার কথায়, ‘‘৩০ বছর আগে আমার যা মত ছিল এই বিষয়ে, এখনও তাই-ই আছে।’’ প্রসঙ্গত, ৩২ বছর আগে ১৯৯২ সালে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কমল। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন যে গুটিকতক তারকা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ‘বিক্রম’ খ্যাত অভিনেতা। সেই সময় কমল বলেছিলেন, ‘‘তাঞ্জোর মন্দির বা ভেলঙ্কন্নি চার্চ যেমন আমার আপন, বাবরি মসজিদও তেমনই।’’
ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ নিয়ে বরাবরই চাঁচাছোলা ভাষায় নিজের মতামত জানিয়েছেন কমল। ‘হে রাম’ ছবিতেও প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর সেই সত্তা। কোনও ভগবান নন, মানুষের উপর বিশ্বাস রাখেন তিনি— বার বার এ কথা স্পষ্ট করেছেন কমল। সাম্প্রতিক কালে মুক্তিপ্রাপ্ত একাধিক বিতর্কিত ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়েও নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েননি তিনি। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ থেকে শুরু ‘দ্য কেরালা স্টোরি’— প্ররোচনামূলক ছবির বিরোধিতা করে জনসমক্ষে মুখ খুলতেও পিছপা হননি কমল।