কিসের বদলা চান অভিনেতা?
জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর দু'দিন পার। কমল আর খানের নিষ্ক্রিয় টুইটার ফের সক্রিয়। 'প্রতিশোধ নিতে ফিরে এলাম', গ্রেফতারির পর রবিবার প্রথম পোস্ট কমলের।
কমলের করা বিতর্কিত কিছু পুরনো টুইট নিয়ে জলঘোলা হচ্ছিল। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। তাতেই অভিনেতা তথা স্বঘোষিত চলচ্চিত্র সমালোচক কমলের হাতে হাতকড়া পরায় পুলিশ। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। দু'দিন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। তার পরই সক্রিয় হলেন নেটমাধ্যমে।
এর আগে অবশ্য তাঁর টুইটার হ্যান্ডল থেকে হঠাৎ পোস্ট করেছিলেন তাঁর পুত্র। বাবার প্রাণসংশয় দেখা দিয়েছে বলে সেই টুইটে বলিউড তারকা এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করা হয়েছিল। যদিও জবাব কেউ দেননি। আদৌ কমলের পুত্রই টুইট করেছিলেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তার পর রবিবার নিজের বয়ানেই টুইট করতে দেখা গেল কমলকে।
২০২০ সালে অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা রামগোপাল বর্মার সম্পর্কে অবমাননাকর দু’টি টুইট করার অভিযোগ উঠেছিল কমলের বিরুদ্ধে। তার পরই মামলা দায়ের হয়। ২০২১ সালে ভারসোভা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
পুলিশের দাবি, কমলের পোস্টগুলিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছিল। তিনি বলিউড তারকাদের নিশানা করে যা খুশি তা-ই বলছিলেন। এর পরই ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
অন্য দিকে, শ্লীলতাহানির মামলায়, বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লড়েন আইনজীবী অশোক সরোগি এবং জয় যাদব। তাঁদের দাবি, কমলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগকারিণী তাঁর এক বন্ধুর প্ররোচনায় হঠাৎ ঝোঁকের মাথায় এফআইআর করে বসেন।
যদিও অভিযোগকারিণীর অভিযোগ ছিল, কেআরকে তাঁকে একটি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অজুহাতে ভারসোভায় নিজের বাংলোতে ডেকেছিলেন। এফআইআর অনুসারে পানীয়তে মাদক মিশিয়ে ২৭ বছরের সেই তরুণীর শ্লীলতাহানি করেছিলেন।