মণ্ডপে পা পিছলে গেল কাজলের! তার পর? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত ঠিকই ছিলেন। বরং পান থেকে সামান্য চুন খসলেও তিনি রেগে গিয়েছেন। প্রচুর বকাবকিও করেছেন। দশমীর দিন তিনি নিজেই বেসামাল! শেষ মুহূর্তে যদি বা কোনও মতে নিজেকে সামলালেন, বিপত্তি ঘটল অন্য বিষয়ে। যা নিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বিত কাজল। সেই খবর যথারীতি ভাইরাল। পুজোর শেষ দিনেও চর্চায় মুম্বইয়ের শশধর মুখোপাধ্যায় পরিবারের বড় মেয়ে। কিন্তু কী এমন ঘটালেন তিনি?
দশমী মানেই দেবীবরণ, বিসর্জন। কাজল তাই এ দিন লাল পাড় সাদা শাড়িতে সেজেছিলেন প্রতি বারের মতো। এই সাজে তিনি বাড়ির পুজোর মণ্ডপে এসেছেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিয়ো বলছে, গন্ডগোল সেখানেই। দেবীবরণের জন্য বেঁধে দেওয়া অস্থায়ী সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠেছিলেন তিনি। মোবাইল দেখতে দেখতে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন অভিনেত্রী। কিছু একটা বিপত্তি যে ঘটতে পারে, আগে থেকেই বুঝি আঁচ করেছিলেন বোন তনিশা মুখোপাধ্যায়। তিনি তাঁর দিদিকে ভাল মতোই চেনেন। আগে ভাগেই রেলিংয়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সামলাতে পারলেন না দিদিকে। প্রাথমিক ভাবে পা ফস্কে গেলেও টাল সামলে নিতে পেরেছিলেন কাজল। সামলাতে পারেননি হাতে ধরে রাখা দামি মোবাইলটি। দু’বার লাফিয়ে উঠে সেটি অস্থায়ী সিঁড়ির ফাঁক গলে চলে গিয়েছে সোজা নীচে!
ভাল করে কিছু বোঝার আগেই কাণ্ডটি ঘটে গিয়েছে। হতভম্ব কাজল সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। সেই সময় উপস্থিত একজন নীচ থেকে তাঁর ফোন কুড়িয়ে এনে দেন তাঁকে। লজ্জায়, অস্বস্তিতে কাজলের মুখচোখ রাঙা। তিনি হাসি দিয়ে কোনও মতে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এ বারের পুজোয় প্রথম দিন থেকেই চর্চায় তিনি। কখনও আমন্ত্রিতদের শিস দিয়ে ডাকায় ছবিশিকারিদের উপর রেগে গিয়েছেন। কখনও ভোগ পরিবেশন করার সময় মোবাইল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কখনও জুতো পায়ে মণ্ডপে ঢুকে দর্শনার্থীরা কড়া ধমক খেয়েছেন তাঁর কাছে। দশমীর দিন তিনি অঘটনের মুখোমুখি হওয়ায় মন্তব্য বিভাগে ঝড় বয়েছে। নেটাগরিকদের দাবি, গত বারও তিনি একই ভাবে মোবাইল দেখতে দেখতে বাড়ির পুজোর সিঁড়ি দিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। এ বারেও প্রায় একই ঘটনা। নিজেকে বাঁচালেও বাঁচাতে পারেননি মোবাইলটিকে।