গৌরবের মা জুন!
মিসেস সিংহ রায়। কলকাতার প্রথম সারির হিরে ব্যবসায়ী বাড়ির বড় বউ। তিন ছেলের মা। বিধায়ক জুন মালিয়াকে এই পরিচয়েই বুধবার দেখা গিয়েছে বাওয়ালি রাজবাড়িতে। শুধু তা-ই নয়, সাজেও ব্যাপক রদবদল! যে জুন ছিমছাম সালোয়ার-কামিজ, প্যান্টে অনায়াস, তিনিই জমকালো সবুজ খোলের চওড়া লাল পাড় বেনারসি শাড়িতে! সঙ্গে মানানসই ভারী গয়না।
জুন হঠাৎ তাঁর পরিচয়, পেশা, সাজ সবই কি বদলে ফেললেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রীর জবাব, ‘‘হ্যাঁ, আপাতত বদলেছি। তবে সবটাই পেশা, অর্থাৎ অভিনয়ের খাতিরে।’’ তার পরেই খোলসা করেছেন পুরোটা— ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে আপাতত এটাই তাঁর চরিত্র। সেই অনুযায়ীই এমন পরিবর্তন।
ইতিমধ্যেই সিংহ রায় বাড়ির জমকালো সেট দর্শকেরা দেখে ফেলেছেন প্রচার ঝলকে। জগদ্ধাত্রী পুজো চলছে সেখানে। উৎসব-বাড়ি সাজানোর দায়িত্বে খড়ি ভট্টাচার্য ওরফে শোলাঙ্কি রায়। সেখানেই সপরিবারে এসেছে সে। খড়ির দিদি শ্রীমা ভট্টাচার্য। ঝকঝকে, প্রাণবন্ত, সুন্দরী সেই মেয়েকে দেখেই মুগ্ধ গৌরব চট্টোপাধ্যায় ওরফে ‘ঋদ্ধিমান’। গল্পে মোচড়ও সেখানেই। বোনে-বোনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতোই সিংহ রায় পরিবারেও রয়েছে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার চোরা স্রোত। গৌরবের সঙ্গে তাই জোর টক্কর ব্যবসায়ী বাড়ির ‘মেজ ছেলে’ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের।
সাঁঝের বাতি ধারাবাহিকে অভিনেতা রিজওয়ানের ‘মা’ হয়েছিলেন জুন। এ বার গৌরবের....। মুখের কথা যেন কেড়ে নিলেন অভিনেত্রী। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘ধারাবাহিক ‘দুর্গা’য় গৌরবের বউদি হয়েছিলাম। নতুন ধারাবাহিকে মা। আমার পদোন্নতি হয়েছে!’’
অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের এই টানটান পারিবারিক গল্পের কিছু অংশ শ্যুট হচ্ছে বাওয়ালি রাজবাড়িতে। বাকিটা কলকাতার ভি লাইন স্টুডিয়োয়। ‘সাঁঝের বাতি’র পর আপাতত সেখানেই ব্যস্ত জুন। তবে কি নতুন করে অভিনয়ে মনোযোগী মেদিনীপুরের বিধায়ক? ‘‘একেবারেই না’’, দাবি জুনের। জানালেন, তিনি শুরু থেকেই বলে এসেছেন রাজনীতি এবং অভিনয় একই সঙ্গে সামলাবেন। ঠিক যে ভাবে একা হাতে দুই সন্তান মানুষ করেছেন অভিনয় করতে করতেই। আশ্বস্ত করেছেন, তাঁকে নিয়ে, তাঁর অভিনয় নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের বাসিন্দাদের।
সামনেই পুরভোট। শ্যুট ছেড়ে কী করে প্রচারে অংশ নেবেন? অভিনেত্রীর বদলে এ বার উত্তর বিধায়কের। জুনের বক্তব্য, ‘‘প্রয়োজনে আগাম শ্যুট করে রাখব। বেশিক্ষণ সময় দেব শ্যুটিংয়ে। আমার জন্য দর্শক এবং প্রযোজকের কোনও অসুবিধা হবে না। স্নিগ্ধা বসুর সঙ্গে সে ভাবেই কথা বলে নিয়েছি।’’