javed akhtar

Javed Akhtar: জন্মদিনে ফিরে দেখা: গৃহহীনদের সঙ্গে রাতের পর রাত গাছতলায় ঘুমোতে হয়েছে জাভেদকে

১৯৬৯ সালে এমন এক কাজ পান, আর গাছের তলায় ঘুমতে হয়নি তাঁকে। তার পরেই সেলিম খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক ছবির সংলাপ লেখা শুরু করেন জাভেদ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:৫০
০১ ১১
১৯৬৪ সালের ৪ অক্টোবর মুম্বইয়ে পা রাখেন জাভেদ আখতার। হাতে তখন না ছিল কাজ, না টাকাপয়সা। অর্থের সন্ধানে, নিজের ক্ষুরধার কলমের জোরে স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আরব সাগর তীরে এসে পৌঁছন তিনি।

১৯৬৪ সালের ৪ অক্টোবর মুম্বইয়ে পা রাখেন জাভেদ আখতার। হাতে তখন না ছিল কাজ, না টাকাপয়সা। অর্থের সন্ধানে, নিজের ক্ষুরধার কলমের জোরে স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আরব সাগর তীরে এসে পৌঁছন তিনি।

০২ ১১
ভাগ্যের দরজা খোলার আগে গৃহহীনদের সঙ্গেই শহরের আনাচে-কানাচে থাকতে হত তাঁকে। ঘুমের সরঞ্জাম নিয়ে এ দিক থেকে ও দিক, ইতিউতি ঘোরা।

ভাগ্যের দরজা খোলার আগে গৃহহীনদের সঙ্গেই শহরের আনাচে-কানাচে থাকতে হত তাঁকে। ঘুমের সরঞ্জাম নিয়ে এ দিক থেকে ও দিক, ইতিউতি ঘোরা।

০৩ ১১
সারা সকাল কাজের সন্ধান। রাত হলে কখনও কোনও বারান্দা, কখনও বা কোনও করিডোর। মাঝে মাঝে আবার গাছের তলায় ভিড়ের মধ্যে রাত কাটিয়েছেন তিনি। সকাল হলে ফের লোটাকম্বল গুটিয়ে কাজের সন্ধান।

সারা সকাল কাজের সন্ধান। রাত হলে কখনও কোনও বারান্দা, কখনও বা কোনও করিডোর। মাঝে মাঝে আবার গাছের তলায় ভিড়ের মধ্যে রাত কাটিয়েছেন তিনি। সকাল হলে ফের লোটাকম্বল গুটিয়ে কাজের সন্ধান।

Advertisement
০৪ ১১
পাঁচটি বছর এমন ভাবেই কাটে তাঁর। ১৯৬৯ সালে এমন একটি কাজ পান, যার ফলে গাছের তলায় ঘুমোনোর প্রয়োজন হয়নি আর। তার পরেই সেলিম খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বলিউডের একের পর এক সুপারহিট ছবির সংলাপ লেখা শুরু করেন জাভেদ। পরিচিত হন সেলিম-জাভেদ নামে।

পাঁচটি বছর এমন ভাবেই কাটে তাঁর। ১৯৬৯ সালে এমন একটি কাজ পান, যার ফলে গাছের তলায় ঘুমোনোর প্রয়োজন হয়নি আর। তার পরেই সেলিম খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বলিউডের একের পর এক সুপারহিট ছবির সংলাপ লেখা শুরু করেন জাভেদ। পরিচিত হন সেলিম-জাভেদ নামে।

০৫ ১১
১৯৭০ থেকে ৮০-র দশক জুড়ে বলিউডে রাজত্ব চালান তাঁরা। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’, ‘ডন’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-র ছবির কথা তৈরি করেন তাঁরা।

১৯৭০ থেকে ৮০-র দশক জুড়ে বলিউডে রাজত্ব চালান তাঁরা। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’, ‘ডন’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-র ছবির কথা তৈরি করেন তাঁরা।

Advertisement
০৬ ১১
কিন্তু ১৯৮২ সালে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আলাদা হয়ে যায় সেলিম এবং জাভেদের পথ। আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করা শুরু করেন তাঁরা। আলাদা হলেও স্বতন্ত্র ভাবে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করতে ব্যর্থ হননি কেউই।

কিন্তু ১৯৮২ সালে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আলাদা হয়ে যায় সেলিম এবং জাভেদের পথ। আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করা শুরু করেন তাঁরা। আলাদা হলেও স্বতন্ত্র ভাবে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করতে ব্যর্থ হননি কেউই।

০৭ ১১
গীতিকার হিসেবে তিন বছর পরপর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জাভেদ। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত যথাক্রমে ‘সাজ’, ‘বর্ডার’ এবং ‘গডমাদার’-এর জন্য। শুধু তা-ই নয়, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রীও পেয়েছেন তিনি।

গীতিকার হিসেবে তিন বছর পরপর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জাভেদ। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত যথাক্রমে ‘সাজ’, ‘বর্ডার’ এবং ‘গডমাদার’-এর জন্য। শুধু তা-ই নয়, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রীও পেয়েছেন তিনি।

Advertisement
০৮ ১১
১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী শাবানা আজমির সঙ্গে বিয়ে হয় জাভেদের। তিন দশক হয়ে গেল তাঁদের দাম্পত্যের। কিন্তু বিয়ের শুরুটা ততটা মসৃণ ছিল না। তার কারণ, তার আগে অভিনেত্রী হানি ইরানির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জাভেদের। দুই সন্তানও ছিল জাভেদ এবং তাঁর হানির। ফারহান আখতার এবং জোয়া আখতার।

১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী শাবানা আজমির সঙ্গে বিয়ে হয় জাভেদের। তিন দশক হয়ে গেল তাঁদের দাম্পত্যের। কিন্তু বিয়ের শুরুটা ততটা মসৃণ ছিল না। তার কারণ, তার আগে অভিনেত্রী হানি ইরানির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জাভেদের। দুই সন্তানও ছিল জাভেদ এবং তাঁর হানির। ফারহান আখতার এবং জোয়া আখতার।

০৯ ১১
শাবানা এবং জাভেদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার সময়ে সমাজ থেকে নানা কটাক্ষ এসেছিল। অনেকেই কাদা ছোড়া শুরু তাঁদের দু’জনকে নিয়ে। শাবানা তাঁর এবং জাভেদের বিয়ে নিয়ে কথা বলার সময়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমি সেই সময়ে নিজের যুক্তি দিতে পারতাম সকলকে। কিন্তু তাতে আরও কথা বাড়ত। আমি জানতাম, এখন চুপ থাকলে পরে সবাই ধীরে ধীরে বুঝবে। এবং তা-ই হল।’’

শাবানা এবং জাভেদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার সময়ে সমাজ থেকে নানা কটাক্ষ এসেছিল। অনেকেই কাদা ছোড়া শুরু তাঁদের দু’জনকে নিয়ে। শাবানা তাঁর এবং জাভেদের বিয়ে নিয়ে কথা বলার সময়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমি সেই সময়ে নিজের যুক্তি দিতে পারতাম সকলকে। কিন্তু তাতে আরও কথা বাড়ত। আমি জানতাম, এখন চুপ থাকলে পরে সবাই ধীরে ধীরে বুঝবে। এবং তা-ই হল।’’

১০ ১১
একই সঙ্গে তিনি হানি ইরানির প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, জাভেদের আগের পক্ষের স্ত্রী যদি তাঁদের পাশে না দাঁড়াতেন, তা হলে হয়তো তাঁদের দাম্পত্য সহজ হত না।

একই সঙ্গে তিনি হানি ইরানির প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, জাভেদের আগের পক্ষের স্ত্রী যদি তাঁদের পাশে না দাঁড়াতেন, তা হলে হয়তো তাঁদের দাম্পত্য সহজ হত না।

১১ ১১
আজমির কথায় জানা যায়, তাঁদের বিয়ের পর পরই হানি তাঁর দুই সন্তানকে শাবানা-জাভেদের সঙ্গে লন্ডন-ভ্রমণে পাঠিয়েছিলেন। সেই থেকে সৎ মায়ের সঙ্গে তাঁদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজও সেই সম্পর্কের স্বাস্থ্য বজায় রয়েছে।

আজমির কথায় জানা যায়, তাঁদের বিয়ের পর পরই হানি তাঁর দুই সন্তানকে শাবানা-জাভেদের সঙ্গে লন্ডন-ভ্রমণে পাঠিয়েছিলেন। সেই থেকে সৎ মায়ের সঙ্গে তাঁদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজও সেই সম্পর্কের স্বাস্থ্য বজায় রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি